শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • হাতিয়ায় স্থানীয় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

হাতিয়ায় স্থানীয় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

হাতিয়ায় স্থানীয় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

নোয়াখালী, ১০ জানুয়ারি, এবিনিউজ : বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ১০জন গুলিবিদ্ধ’সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এসময় কয়েকটি বসত ঘরে ভাঙচুর করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভৈরব বাজার এলাকার শুল্যকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত গুলিবিদ্ধরা হলেন- আব্দুর রহিম (৪০), আবু তাহের (২৮), জসিম উদ্দিন (২৭), রাশেদ (৩৫), আবদুল করিম (৪২), আব্দুর রহিম কালু (৩০), কাউসার (২৮), জুয়েল (৩২), সাইফুল ইসলাম (৩৩), কাদের মোল্লা (৪৫), বাবর উদ্দিন (৪৩), ইউসুফ (৩৬)’সহ ১৪ জন। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী পরবর্তি সহিংসতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং নির্বাচনের তার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান (এমপি সমর্থিত) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষকারীরা কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন জানান, দুপুরে স্থানীয় ডাকাত আব্দুর রহিম, আবু, মুরাদ, রবিন্দ্র বাহিনী, আমিন উল্যাহ, আলা উদ্দিন, আবু তাহের, শাহারাজ ডাকাত, ফারুক ডাকাতসহ ৩০/৩৫জনের একটি দল ৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারীদের ছুড়া এলাপাতাড়ি গুলিতে ১০জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের জেলা সদর’সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত মহিউদ্দিনের সমর্থকরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী (এমপি সমর্থিত) প্রার্থীর কয়েকজনকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘদিন উপজেলা শহরে থাকার পর মঙ্গলবার ভোরে তারা এলাকায় যায়। দুপুরের দিকে তাদের এলাকায় আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুণঃরায় চেয়ারম্যান ও এমপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এ বিষয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত