শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বরগুনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বরগুনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বরগুনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বরগুনা, ১৫ জানুয়ারি, এবিনিউজ : বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম এর বিরুদ্ধে , স্লিপ, রুম সজ্জিতকরন ও প্রাক-প্রাথমিকের মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে তারিখ ছাড়া ভূয়া ভাউচার তৈরি করে শিক্ষা অফিসে জমাদিয়ে বরাদ্দের সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছেন।এমনকি তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে রিটেনএ আগাম স্বাক্ষর করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠানের রুম সজ্জিতকরন ও প্রাক প্রাথমিকের জন্য তাদের ক্রয়কৃত সামগ্রী দেখিয়ে সরকারি বরাদ্ধের সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছেন এই প্রধান শিক্ষক।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিলকৃত ভাউচারে তিনি ১০হাজার টাকা খরচ দেখান রুম সজ্জিত করন বাবদ। অথচ শ্রেনী কক্ষ সজ্জিত করনের কোন কাজই তিনি করাননি ।

প্রাক প্রাথমিকের একটি রুমের সজ্জিত করন করে দিয়েছে স্যাপ বাংলাদেশ নামক একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান।এমনকি তারা স্কুলে রং ও প্রাক প্রাথমিকের খেলনা সামগ্রী ও ফ্লোরম্যাট ক্রয় করে দিয়েছেন।আর এসকল সামগ্রী দেখিয়ে কাগজে কলমে ভাউচার জমাদিযে বরাদ্দকৃত সমুদয় টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।বরগুনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নেই কোন হোম ভিজিট, এক বছরের মধ্যে হয়নি কোন মা সভা। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ম্যাপের ভাউচার জমাদিলেও বাস্তবে তা তৈরি করা নাই।গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য কাগজ কলম বিতরনের কথা থাকলেও কা্উকেই তা দেয়া হয়নি বলে জানান বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা। কাগজের কয়েকটি ফেস্টুন ও তিনটি দেয়াল ঘড়ি ক্রয়করে বরাদ্দের ৫০ হাজার টাকা হাতিযে নিয়েছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে স্কুলের কোন মালামাল ক্রয় করা হয়নি। মাত্র তিনটি দেয়ালঘড়ি ও তটি হারপিক ক্রয় করে সকল টাকা প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম হাতিয়ে নিয়েছেণ।এসময় তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক ভাউচার তৈরি করে জমা দিয়েছেন তাতে যা তিনি উল্লেখ করেছেন তা সবই হাস্যকর।বাস্তবে কোন কা্জই করেননি। এমনকি তিনি নিয়মিত স্কুলেও আসেননা। রিটেনে স্বাক্ষর করেন মাসের শুরুতে খেয়াল থাকেনা কখন সরকারি ছুটি তাও।

এসব তদারকি করার দায়িত্ব্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের থাকলেও বাস্তবে তা নেই।স্থানীয়দের অভিযোগ দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করেই প্রধান শিক্ষক এসকল অনিয়ম করে আসছেন।ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আ. হক জানান, বিদ্যালয়ের মালামাল ক্রয়ের জন্য নিয়ম অনুযায়ী ক্রয় কমিটি থাকার কথা ।

তাছাড়া শিক্ষা অফিসার এসকল সব ভিজিট করবেন কিন্ত গত একবছরে শিক্ষা অফিসার আসাদ সাহেব এ বিদ্যালয় আসেনি। কারন যতটুকু শুনেছি মনিরা অফিসারকে ম্যানেজ করে সকল টাকা আত্মসাত করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম ২৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটেনএ আগাম স্বাক্ষর করেন। অথচ ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতকালীন অবকাশ ছুটি থাকলেও তিনি তা অবগত না হয়ে স্বাক্ষর করেন।

২০১৫-১৬ অর্থ বছরের স্লিপের ৪০ হাজার টাকা, শ্রেণী কক্ষ সজ্জিতকরন ৫ হাজার টাকা, প্রাক প্রাথমিকের ৫ হাজার টাকা মোট ৫০ হাজার টাকা সরকারী বরাদ্দ দেয়া হলে, কোন কাজ না করিয়েই সেই টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন।এ বিষয় প্রধান শিক্ষক মনিরা ইয়াসমিন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ৪৭হাজার টাকার কাজ করেছি।যার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য সাংবাদিকদের তিনি দেখান কয়েকটি কাগজের ফেস্টুন।

স্লিপের টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর মুঠো ফোনে বলেন, এ হিসাব রাখবেতো স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানে স্কুলের সাথে যারা জড়িত, আপনাদের সাংবাদিকদের কাছে হিসাব দিতে হবে নাকি? এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/তরিকুল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত