![পারিবারিক কলহের জেরে শ্লীলতাহানীর শিকার গৃহবধু](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/02/10/barguna@abnews24_61655.jpg)
বরগুনা, ১০ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : পারিবারিক জেড়ে এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে শারিরীক নির্যাতন করেছে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের বেধরক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে, বরগুনার বামনা উপজেলার পূর্ব বলইবুনিয়া গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে। আহত গৃহবধু লিপি বেগম (২১)কে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বলই বুনিয়া গ্রামের মো. আব্দুস শহিদের কাঠাল গাছের পাতা পরে প্রতিবেশি জাকির এর জমির সীমানার মধ্যে এই ঘটনায় শহিদের মেয়ে লিপি বেগমের সাথে জাকিরের কথা কাটাকাটির এক পর্যায় জাকির লিপি বেগমকে বেধরক মারধর করেন। এক পর্যায় লিপির তলপেটে লাথি দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে রক্ষা করতে আসলে লিপির মা সামসুন্নেছা বেগম ও লিপির স্বামী নাজমুল হাসানকেও মারধর করেন।
লিপির স্বামী নাজমুল হাসান জানান, আমি চট্টগ্রামে থেকে বামনার বলইবুনিয়া গ্রামের শশুর বাড়িবেড়াতে আসছি । বৃহস্পতিবার সকালে আমার স্ত্রী লিপি বেগম এর সাথে সামান্ন কথা কাটাকাটি হয় তাদের প্রতিবেশি কলেজের প্রফেসর জাকিরের সাথে। কিন্ত জাকির ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলেছে। আমার স্ত্রী গত মাসে সন্তান প্রসব করে। তাকে সিজার করা হয়েছিল। ঐ অপারেশনের যায়গায় আঘাত করা হয়েছে। সে বর্তমানে খুবই অসুস্থ্য। আমরা ফিরাতে আসলে জাকির ও তার অন্য দুই ভাই মিলে আমাকে ও আমার শাশুরিকেও মারধর করেন।
এসময় আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকিও দেয় জাকির হোসেন। ইসমাঈল হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেন (৩৫), তিনি বামনার দদিভাঙ্গা জিয়াউল ফারুক নামক একটি বেসরকারি কলেজের প্রফেসর।তার ভাই কবির হোসেন ও ছগির হোসেন মিলে বেধরক মারধর করেন। এব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে আহত পরিবারটি জানায়।
এবিএন/তরিকুল ইসলাম/জসিম/রাজ্জাক