শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • হাজীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকীর অভিযোগ

হাজীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকীর অভিযোগ

হাজীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকীর অভিযোগ

হাজীগঞ্জ, ১৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের মিয়াজী বাড়ির এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকী দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। স্থানীয় রাজাকার মৃত আমানুল্লাহ মিয়াজীর (আমান রাজাকার) পুত্র মো. দিদারুল আলম (৩৮), ফখরুল আলম (৪২) ও মুশফিকুর রহমান (৪০) হুমকীর ঘটনা ঘটায়। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার একই বাড়ির মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ (৬৫) মায়ের মৃত্যু জনিত কারণে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসলে রাজাকার পুত্রগণ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ওই সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ ও তার ভাই আব্দুল মজিদ মিয়াজীর (৫৮) সাথে আলাপচারিতা অবস্থায় থাকায় আব্দুল মজিদ তার ভাইকে বাঁচানোর জন্য সামনে দাঁড়ালে হামলার শিকার হয়। এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও মারধর করলে একই বাড়ির আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী রাজিয়া বেগম ও মৃত মজিবুর রহমানের দুই ছেলে জিল্লুর রহমান ও হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন ডাক চিৎকার করে স্থানীয়দের জড়ো করলে হামলাকারীরা হুমকী-ধমকী দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। আব্দুল মজিদ ও রাজিয়া বেগম আহত হলে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। উভয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও অবস্থা বেগতিক দেখে রাজিয়া বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ জানায়, ‘গত কয়েক বছর পূর্বে বাড়ির সামনের জনগণের চলাচলের রাস্তাটি ভরাট করায় রাজাকারপুত্রগণ আমাকে হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি বর্তমানে কুমিল্লা শহরে অবস্থান করছি। মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসলে তারা আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।’ তিনি আরো জানান, ‘সন্ত্রাসীদের বাবা আমানউল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আমান রাজাকারের মরনোত্তর বিচার সহ তার সন্ত্রাসী পুত্রদের হামলার প্রতিবাদে সুবিচার প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি স্বাধীনতার প্রায় ৪৬ বছর পার হলেও রাজাকারদের দৌরাত্ম থেমে নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনার বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই ঘটনায় গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। সাধারণ ডাইরী নং- ৮১৬। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এবিএন/তারেক হাসান/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত