
সিলেট, ১৯ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্যেও সিলেটের পাথার কোয়ারীগুলোতে পাথর উত্তোলন থামছে না। এতে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। আজ রবিবার বিকেলে সিলেটের জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন কালে মাটিচাপায় দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন- সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল গ্রামের মদরিস আলীর ছেলে কামরুজ্জামান ও জিয়াদুর রহামানের ছেলে তাজ উদ্দিন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আব্দুর রশিদ নামের আরো এক শ্রমিক।
এ ঘটনায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় কোয়ারি মালিক দুলালসহ ৭জনকে আটক করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন থেকে জাফলং বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সোনা টিলায় পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিলো। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাথর উত্তোলনকালে মাটি চাপায় ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিক নিহত হয়। এতে আহত হয় আরো একজন। আহতকে উদ্ধার কওে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গায়াইনঘাটর উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমদ জানান প্রশাসনের নজরদারির ফাঁকে নিষেধাজ্ঞা সত্যেও পাথর কোয়ারি থেকে চুরি করে পাথর উত্তোলন করছে কেউ কেউ। এতে শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়ে বলে জানান তিনি।
গোয়ানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাথর মালিক দুলাল আহমদও ৬ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত একমাসে দিনে সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনকালে মাটিচাপায় মারা গেছেন অন্তত ১৩ শ্রমিক। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায়। পুলিশের ভাষ্য মতে, ওইদিন টিলা ধসে মারা যান পাঁচ শ্রমিক। এছাড়া বিছনাকান্দি, লোভাছড়ায় মাটিপাচায় শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে, গত ছয় মাসে শাহ আরেফিন টিলা ধসে মারা গেছেন ১৮ শ্রমিক। তবে স্থানীয়দের হিসেবে এ সংখ্যা আরো বেশি।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি