![শ্রীনগরে প্রবাসির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/03/15/chadadabi-logo_67159.jpg)
মুন্সীগঞ্জ, ১৫ মার্চ, এবিনিউজ : শ্রীনগরে এক ইটালি প্রবাসির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে ওই প্রবাসি বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভ’ক্তভোগী ওই প্রবাসি ব্যবসায়ির নাম মোঃ টুটুল মৃর্ধা। তিনি শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস পূর্বে ইটালি প্রবাসি ব্যবসায়ি মোঃ টুটুল মৃর্ধা বাংলাদেশে আসেন। তার কয়েক দিন পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে উপজেলার বালাসুর বাজারের হাসু মোল্লা ও তার সহযোগীরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় বিষয়টি শ্রীনগর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে মামলা না করার পরামর্শ দেন বলেও ভুক্তভোগী প্রবাসি জানান।
পরে শ্রীনগর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম পিপিএমকে অবহিত করলে এর একটি লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দেন। সূত্রে আরও জানাগেছে, চাঁদা না দেয়ার জেরে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বালাসুর বাজারের রশিদ টাওয়ারের সামনে গেলে প্রবাসি টুটুলের উপর হামলা চালায় হাসু মোল্লা বাহিনি। কোনো মতে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়ে থানা পুলিশের দারস্ত হয়েছেন বলে ওই প্রবাসি জানান। এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, হাসু মোল্লা হিন্দুবাড়িসহ বিভিন্ন সম্পত্তি জবরদখল ও ভুমি দস্যুতার জুড়ি নাই। শ্রীনগর থানা ও মুন্সীগঞ্জ কোর্টে এ যাবৎ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে এবং অনেক মামলা এখনও চলমান। এলাকাবাসি আরও অভিযোগ করেন, হাসু মোল্লা বালাসুর নতুন বাজারের কাতার প্রবাসি আলমগীর সিপাহীর বাড়ির বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার জন্য নগদ ৫০হাজার টাকা চাঁদা নেন। ওই এলাকার নুরুল হক মৃর্ধা এবং হারুন সিপাহি প্রত্যেকে হাসু মোল্লাকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর দায়ে বালাসুর বাজারের শুকুর বেপারি হাসু মোল্লাকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে রফা করেন। বালাসুর বাজারে নগর পরিবহনের কাউন্টারের জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য স্থানীয় হবি আলমের কাছ থেকে কাছ ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ রয়েছে হাসু মোল্লার বিরুদ্ধে।ওই বাজারের আরও ভ’ক্তভোগী জয়দেব দাস ও আব্দুর রহমানসহ অনেকে হাসু মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
পার্শ্ববর্তী কামারগাঁও গ্রামের রশিদ শেকের সাড়ে দশ শতাংশ জায়গা, মেহেরুন্নেছার দেড় বিঘা জায়গা, জামাল মিয়ার ভ’মি হীনের পত্তন পাওয়া জায়গা, বাগান বাড়ির আলমগীর শেকের জায়গাসহ বিভিন্ন লোকের জমি জবর দখল করার অভিযোগ রয়েছে হাসু মোল্লার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আনোয়ার সর্দারের ভিটে মাটি শুদ্ধ উচ্ছেদের পায়তারা করছে সে। বালাসুর গুচ্ছ গ্রামের পূর্ণবাসনের জায়গায় বেশ কয়েকজন ভ’মিহীনদের কাছ থেকে জনপ্রতি ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন হাসু মোল্লা। ভয়ে ওই সব ভ’মিহীন ক্ষতিগ্রস্তরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ সাহস পায় না। ওই বাজারে পান ব্যাবসায়ী আমজাদ শেকের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এলাকায় কোনো বিল্ডিং স্থাপনা করতে গেলে হাসু মোল্লা ও তার সহযোগীদের নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় নানা হয়রানির খরগ নেমে আসে। এব্যাপারে অভিযুক্ত হাসু মোল্লা ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন জানান,এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/আতিকুর রহমান/জসিম/ইমরান