মুন্সিগঞ্জ, ১৮ মার্চ, এবিনিউজ : মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার হোগলাকান্দিতে জমির আলু কুড়ানোর অপরাধে এক ১০ বছরের কিশোরকে জমির মালিকের নির্দেশে তার লোকজন নির্মমভাবে পিটিয়ে পোষা কুকুর দিয়ে কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করার ঘটনা ঘটিয়েছে। এঘটনাটি এলাকায় মানুষের মনে ক্ষোভের সৃস্টি করেছে। সামান্য আলুর জন্য এমন নিষ্ঠুর ঘটনা মানুষের বিচারবোধকে যেন কাঠগড়ায় এনে দাড় করিয়েছে।
এঘটনার জন্য মেরাজউদ্দিনের বিবেক একটুও কেঁপে ওঠেনি। যা ঘটেছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশতো দুরের কথা চিকিৎসার জন্য একটি পয়সাও দেয়নি পিতৃহীন জিহাদকে। দরিদ্র এ কিশোর কুকুরের ভ্যাকসিন ও শরীরের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য টাকা চাইতে গেলে জমির মালিক মেরাজউদ্দিন ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে ও তার মাকে আবারো মারধর করে বলে জিহাদের মা লক্ষèী বেগম জানায়। ধারদেনা করে পরে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ছেলে জিহাদ (১০)কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান মা লক্ষ্মী বেগম। ছেলেটি একারণে মানসিক বিপর্যয় অবস্থায় রয়েছে।
জিহাদের মা লক্ষ্মী বেগম (৫০)জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জিহাদ আলু কুড়ানোর জন্য মেরাজউদ্দিন গাজী (৬০) এর জমিতে যায়। এ সময় মেরাজ গাজী জিহাদকে আলু চুরির অপবাদ দিয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে তার উপড় চড়াও হয় এবং তার লোকদের নির্দেশ দেয় জিহাদ কে মারার জন্য। তার কথামত লোকজন জিহাদকে বেদম প্রহার করে। তার বাম হাত প্রহারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় এবং ফুলে যায় ও শরীরের ভিবিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন বসে যায়। এক পর্যায় তার পোষা কুকুরও জিহাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার বামপায়ের পিছনের উপরের অংশ কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়।এসময় তার সাহার্যে তার খালা সুমাইয়া (১৪)ওআতœীয় লাজিনা (৫০) এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয় বলে জানান লক্ষèী বেগম। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অপু মেম্বারের সরনাপন্ন হলেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানায় জিহাদের মা। বর্তমানে পরিবারটি অনেকটাই চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মেরাজ গাজীর বাড়ী গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে অপু মেম্বারের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত এবং সমাধানের চেষ্ঠা করছি।
এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/ইমরান