![পাথরঘাটায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/03/19/borguna-map_67820.jpg)
বরগুনা, ১৯ মার্চ, এবিনিউজ : পাথরঘাটা উপজেলায় জাতির জনকের জম্মদিনে তার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে পাথরঘাটায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যনকে মোবাইল ফোনে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে এবং ওই হাসপাতালে শনিবার রাতে কিছু সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করার জন্য খোজ নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে মহিলা ভাইস ফাতিমা পারভিন রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বরিশাল এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। ফাতিমা পারভিন প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। যে কোন সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলতে পারে।
অপর দিকে এ ঘটনায় তিনদিনেও পাথরঘাটা থানায় মামলা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুসে উঠছে স্থানীয় জনগণ। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিন রোববার দুপুরে যুগান্তরকে মুঠোফোনে জানান, ১৭ মার্চ জাতির জনকের জম্ম দিনে নির্ধারিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, র্যালি ও আলোচনা সভা। উপজেলা চেয়ারম্যান না থাকায় তার প্রস্তাব ছিল সবার আগে শিশুদের নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য দিয়ে র্যালি করা। এতে সবাই একমত হয়। হঠাৎ পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মহিলা এমপি নাসিমা ফেরদৌসির আপন বড় ভাই বেলায়েত হোসেন বলেন, আগে র্যালি হবে। পরে পুস্পমাল্য দেওয়া হবে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান তার বাসায় চলে যায়। কিছুক্ষন পর পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে তাকে ফোন করে নেওয়া হয়।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও তার দলবল তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিনের উপর চড়াও হয়ে তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান ফাতিমা পারভিনকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও বেলায়েত হোসেন এবং তার দলীয় লোকজন লাঞ্ছিত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিন প্রথমে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল মহাবিদ্যালয় প্রেরন করেন।
শনিবার বিকালে একটি মুঠোফোন দিয়ে বার বার ফাতিমা পারভিনকে ফোন দিয়ে বরিশাল হাসপাতালের অবস্থান জানতে চায়।ফাতিমা পারভিন তার পরিচয় জানতে চাইলে তাকে ফোনে প্রান নাশের হুমকি দেয়। ওই সন্ত্রাসীরা আরো জানায় তারা বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রয়েছে। ফাতিমা পারভিন সন্ত্রাসীদের ভয়ে শনিবার রাতে চিকিৎসকদের মৌখিক অনুমতি নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় থাকে। রোববার দুপুরে ছাড়পত্র নিয়েছেন। ফাতিমা পারভিন প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ফাতিমা পারভিনের স্বামী রেজাউল করিম মিরাজ বলেন, এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় শুক্রবার দুপুরে এবং রাতে মামলা করতে গেলে ওসি মোঃ জিয়াউলহক মামলা নেয়নি। ওসি বলেছেন মহিলা এমপি মামলা নিতে নিষেধ করেছেন।
এ কারনে মামলা নেওয়া হবেনা। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন জানান, কাউকে লাঞ্চিত করা হয়নি এবং ফাতিমা পারভিনকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়া হয়নি। পাথরঘাটা থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি।
এবিএন/তরিকুল ইসলাম/জসিম/ইমরান