
মুন্সিগঞ্জ, ২৩ মার্চ , এবিনিউজ : পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদীবিধৌত মুন্সিগঞ্জ জেলার শাখা নদীগুলোতে পলি মাটি জমে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি শাখা নদী দিয়ে নৌচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু নৌযান চলাচল করলেও বাঁশের লগি দিয়ে নাব্য পরিমাপ করে চলাচল করতে হয়। জানা গেছে, এক সময় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার কাঁটাখালী বাজার থেকে কালিদাস সাগর নামের শাখা নদী দিয়ে রজতরেখা নদী হয়ে একতলা লঞ্চ চলাচল করত মাকহাটি-দীঘিরপাড় নৌরুটে। রজত নদী দিয়ে ছোট লঞ্চগুলো চলাচল করতো চিতলিয়া,বাংলাবাজারও মুন্সিরহাটে। বছরের পর বছর পলি মাটি জমে নাব্য সংকট দেখা দিলে গভীরতা কমে যায়। ফলে এ নদী দিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কালিদাস সাগর ও রজতরেখা নদীর মতো নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় জেলার আরও বেশ কয়েকটি শাখা নদীতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে, কালিদাস সাগর, রজতরেখা, কাজল রেখা নামের শাখা নদীর মতো জেলার ৬টি উপজেলার অভ্যন্তরে বালিগাঁও-ডহুরী নামের শাখা নদী, শ্রীনগর উপজেলা সদর দিয়ে প্রবাহিত শাখা নদীসহ একাধিক শাখা ও উপশাখা নদী পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া এবং নাব্য সংকটের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। নারায়নগঞ্জ-আবদুল্লাহপুর,আবদুল্লাহপুর-বেতকা,বেতকা-তালতলা নৌ-রোডও বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শাখা নদী পলি জমে নাব্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ও সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা শাখা নদী দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণসহ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধি বাড়িয়ে দখল করে রেখেছেন। সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা জানান, তার ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রজতরেখা নদীসহ আশপাশের শাখা নদীগুলো খনন করার জন্য মুন্সিগঞ্জ -৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের কাছে দাবি উথাপন করা হয়েছে। তিনি নৌ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনর্খননের ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা বলেন,’’ শহরের কাটাখালী খালকে বাঁচিয়ে তুলতে গত ১৪ মার্চ পুনর্খননের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে’’ । তবে সম্প্রতি সবুজ সাজাই মুন্সিগঞ্জ আন্দোলনের মাধ্যমে কাটাখালী খালকাটার মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে খালকাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলার শাখা নদীগুলো পুনর্খনন করতে মন্ত্রণালধেয়র সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/নির্ঝর