রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মুন্সিগঞ্জের হাসাইল ইউনিয়নের অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের গল্প

মুন্সিগঞ্জের হাসাইল ইউনিয়নের অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের গল্প

মুন্সিগঞ্জের হাসাইল ইউনিয়নের অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের গল্প

মুন্সিগঞ্জ , ৩১ মার্চ , এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ি উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নে প্রায় আনুমানিক ১৪ হাজার জনগন বসাবস করে। পরিসংখ্যায় দেখা গেছে, ১৯৯১ সালে এই ইউনিযনের ভোটার সংখ্যা ছিল ১৪৭২১ জন। পরবর্তীতে সর্বনাশা পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে এলাকা থেকে জনগন কমে ২০১৫ সালে এই ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ৯০৮৬ জনে দাড়ায় বর্তমানে এই ইউনিয়নে সব মিলিয়ে আনুমানিক ১৪ হাজার জনগনের বসাবাস। ১৪ হাজার জনগনের মধ্যে নদীভাঙ্গার কারনে ৬-৭ হাজার জনগন চরাঞ্চলে বসাবস করে। আর এ চরাঞ্চচলের মানুষগুলোর কষ্টের যেন শেষ নেই। আধুনিক যুগ হলেও এদের ভাগ্য যেন কষ্টের গল্পে গাথাঁ। আর এই ৬-৭ হাজার জনগন প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হেটে হাসাইল বাজারে আসা-যাওয়া করে থাকেন। শুধু তাই নয় এই ইউনিয়নের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি নদীর এপারে থাকায় চরাঞ্চল থেকে শত শত শিক্ষার্থী ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে আসে। চরাঞ্চলের এই মানুষগুলোকে হাসাইল বাজারে বা স্কুলে আসতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুল ব্যবহার করতে হয়। যানবাহন চলাচল না থাকায় চরাঞ্চলের লোক গুলোকে পায়ে হেটে আসতে হয় হাসাইল বাজারে।চরাঞ্চলের আব্দুল কুদ্দুছ দেওয়ান জানান, দৈনন্দিন জিবন-যাপনের জন্য প্রতিদিন আমাদের বাজারে যেতে হয।কোনোকোনো দিন আসতে রাত হলে অন্ধ্যকারে এই পুল দিয়ে আসতে সমস্যা হয়। নাহিদ নামের বানারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শেণীর এক ছাত্র জানান, এখন তো কষ্ট হলেও স্কুলে যেতে পারি কিন্তু বর্ষাকালে আমারা স্কুলে যেতে পারিনা। তখন এই পুল গুলো পানিতে তলিয়ে যায়। চরাঞ্চলের মানুষের দাবী অতিদ্রুত কাঠের পুলগুলোর পরিবর্তে ব্রীজ নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া না হলে মানুষের দূর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে।এ ব্যাপারে হাসাইল বানারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের কষ্ট বুঝতে পেরে ইতিমধ্যে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেখানে কাঠের পুল আছে সেখানে ব্রীজ করে দেয়ার জন্য আবেদন করেছি। চরাঞ্চলের মানুষ ক্লান্ত হয়ে যখন হাটে পৌছায় তখন তাদের বিশ্রামের জন্য নদীরপাড়ে একটি ছাউনি তৈরী করে দিয়েছি। তবে সরকারী ভাবে অনুদান পেলে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে মনে করি।

এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত