মাদারীপুর, ০১ এপ্রিল, এবিনিউজ : ২০১৮ সালের মধ্যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ রাজধানী থেকে বাড়ি যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান । আজ শনিবার মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করেই নিজ অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে সেতুর ৪০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।’
২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের সেতুটি চার লেনবিশিষ্ট। মূল সেতুটি দৈর্ঘ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং চওড়ায় ২২ মিটার। সেতুটিতে মোট ৪১টি স্প্যান থাকছে, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। স্প্যান বড় হওয়ার কারণে রিইনফোর্সড কংক্রিট দিয়ে তৈরি না করে ওজন কমাতে এই সেতুটির মূল অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে স্টিল দিয়ে। তীব্র বায়ুপ্রবাহ ও ভূমিকম্পজনিত ধাক্কা মোকাবেলায় বেছে নেওয়া হয়েছে ওয়ারেন ট্রাস ফর্ম। পুরো সেতুটির ভার বহন করার জন্য থাকছে ৪২টি পিয়ার (পিলার), যা মাঝের ৪০ পিলারের প্রতিটির নিচে থাকছে ৬টি পাইল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই সব মিলিয়ে গড়ে সেতুটির প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
২০১৯ সালে বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হবে উল্লেখ করে শাজাহান খান ওই নির্বাচনে সবাইকে অংশ নেবার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করেও বলেন নির্বাচন ফেয়ার হয়নি। তাহলে তারা জয়লাভ করলেন কীভাবে? এটাই হল বিএনপির’র চরিত্র।’
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নুরুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনছার উদ্দিন, সাবেক অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মন্ডল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর মাহমুদ আবির।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি