![তিন পাহাড়ে এখন উৎসবের আমেজ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/04/02/khagrachari-utshob@abnews_70270.jpg)
খাগড়াছড়ি, ০২ এপ্রিল , এবিনিউজ : পাহাড়ে পাহাড়ে বৈসু-সাংগ্রাইং-বিজু-বিষু-বিহু’কে ঘিরে পাড়ায় মহল্লায় এখন চলছে উৎসবের আমেজ। পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি বা আদিবাসীর ঐতিহ্যবাহী সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রধান উৎসব বৈসাবি বৈসু-সাংগ্রাই-বিজু ও বাংলা নববর্ষ(পহেলা বৈশাখ) প্রতিবছর ন্যায় এ বছরও পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে খাগড়াছড়ি পাশাপাশি অন্য তিন জেলা রাংগামাটি, বান্দরবান ও কক্্রবাজর। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সাংস্কৃতিক ইন্সষ্টিটিউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সামাজিক উৎসবের আয়োজন করছে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ২২মার্চ ২০১৭খ্রি: যৌথ মিটিং সভার ৭টি উপ-কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ই এপ্রিল২০১৭খ্রি: সম্মিলিত ভাবে বৈসাবি ও বাংলা নববর্ষ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে মারমা উন্নযন সংসদ, মারমা সংগঠন ঐক্য পরিষদ, চাকমা একাডেমী, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান সংসদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞলিক শাখা’র পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহন করেছে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে মূল উৎসব শুরু হবে। পাহাড়ে প্রত্যন্ত এলাকার মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি, রামগড়, মাটিরাংগা, গুইমারা, পানছড়ি, দীঘিনালা ও সদর খাগড়াছড়ি উপজেলা নতুন সাজে সাজতে শুরু করেছে উৎসব আমেজে আদিবাসী পল্লীগুলোতে। এদের মধ্যে বাড়তি যোগ হয়েছে ৩রা এপ্রিল থেকে ৬এপ্রিল পর্যন্ত মাসব্যপী মহালছড়ি উপজেলা ২৪মাইলস্থ উ: মনি জ্যোতি শিশু মংগল সদন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ উন্নয়নার্থে বৌদ্ধদের বহু চক্র মহা সাততীর্থ মেলা, বৈসু-সাংগ্রাইং-বিজু-বিষু-বিহু ১২জলকেলী/পানি খেলা সম্মিলিত উৎসব। পাহাড়ে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদ্দেশ্যে ১২,১৩,১৪, ১৫এপ্রিল টানা ৪দিন ব্যাপী ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষনা করায় প্রধানমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি সংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম ক অজ্ঞলের সভাপতি শ্রী প্রকৃতি রন্জন চাকমা(অব: উপ-সচিব)সহ নেতৃবৃন্দরা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে। খাগড়াছড়ি নয়টি উপজেলায় চাক্মা, মারমা, ত্রিপুরা, রাখাইন, চাক অহমিয়া ও বাঙ্গালী স¤প্রদায় সম্মিলিত ভাবে পাহাড়ে বর্ষবরণ করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। যেন মনে হয় বৈসাবির আমেজে পাহাড় এখন নতুন ভাবে সেজে উঠেছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যৌথভাবে সকল জনগোষ্টির সম্মলিত প্রস্তুতি সভায় পাজেপ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: আলী আহম্মদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃ¯œ চন্দ্র চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এটিএম কাওসার হোসেন, পাজেপ নির্বাহী প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জীবন রোয়াজা, উপজেলা চেয়াম্যান চন্চুমনি চাকমা, প্রেস ক্লাবে’র সভাপতি জীতেন বড়–য়াসহ বিভিন্ন এলাকার গন্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১লা এপ্রিল থেকে ২৯এপ্রিল পর্যন্ত মাস ব্যাপী খাগড়াছড়ি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন উদযাপন কমিটি’র উদ্যোগে আদিবাসীদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা ব্যাপক আয়োজন ছিল চোখে পড়ারমত। মারমাদের সামাজিক সংগঠন মারমা উন্নয়ন সংসদ, মারমা সংগঠন ঐক্য পরিষদ ১২ এপ্রিল থেকে শুরু করে ৪দিন ব্যাপী মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ১৩এপ্রিল জলকেলী/পানি খেলা উৎসবসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করেছে। তাছাড়া প্রত্যেক আদিবাসী গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ক্লাব ও সমিতি’র উদ্যোগে বিভিন্ন এতিহ্যবাহী খেলাসহ জাতীয় খেলায়ও আয়োজন করে উৎসবকে আরো আনন্দময় করে তোলার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরে পানখাইয়া পাড়া, গোলাবাড়ী, রাজ্যমনি পাড়া, আপার পেরাছড়া, খাগড়াপুর, আড়াই মাইল, খবংপড়িয়া, নারানখাইয়া, ঠাকুরছড়া, পেরাছড়াসহ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ী পল্লীগুলোতে বৈসাবি উৎসব পালনের জন্য চাক্মা, মারমা ও ত্রিপুরা স¤প্রদায়ের লোকজন ব্যাপক প্রস্তুতি ও তাদের কেনাকাটা শুরু করেছে। প্রতিটি গ্রামে আদিবাসীদের অথিতিয়তা আপ্যায়ন ও খেলাধূলা আয়োজন চলছে। প্রতি বছরের মত এবারও জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তাদের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান সাংগ্রাই পালনের সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলার সর্ববৃহৎ মন্দির য়ংড বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুর বন বিহার, পানখাইয়া পাড়া ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার, পালিটোল বৌদ্ধ বিহার ও মহালছড়ি উ: মনিজ্যোতি শিশু মংগল সদন বৌদ্ধ বিহারসহ অন্যান্য বিহারে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ উৎসবকে গিরে হাট-বাজারে প্রচুর কেনাকাটা ধুম পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চাকুরীজীবি ও স্কুল,কলেজ ও ইউনির্ভাসিটি ছাত্র/ছাত্রীরা নিজ গ্রামে মা-বাবা,আতœীয়-স্বজনদের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগী করতে ছুটে আসছে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান বলেন, পাহাড়ে বর্ষ বরণ উৎসবকে প্রানবন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসন নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পাহাড়ীদের এই উৎসব এই বছরও জাঁকজমকভাবে পালন করবে।
আদিবাসীদের বৈচিত্রময় আপ্যায়নতার তিনটি দিন :
আদিবাসীদের প্রধান অন্যতম উৎসব বৈসাবি বিভিন্ন স¤প্রদায়ের উৎসবে যেমন ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে তেমনি উৎসবে তিনটি দিনের নামও আলাদা। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই আর চাকমার বিজু এই তিন ভিন্ন ভিন্ন চেতনার উৎসবের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে বৈসাবি। যেন একই আলো, একই আবেদন, একই চিন্তা চেতনায় উদ্দীপ্ত এক অনুষ্ঠানে যোগ হল বাঙ্গালীদের (বড়–য়া হিন্দু মুসলিম) পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ ভুলে নাই দাওয়াত ও শুভেচ্ছা। শহর থেকে প্রত্যান্ত অঞ্চলে জীর্ণ কুটির পর্যন্ত প্রতিটি আদিবাসীদের মানুষের ঘরে ঘরে কিছুটা আতংকের স্বস্তি পেলে বর্ষ বরন ও বর্ষ বিদায় উৎসবের আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে।
মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব :
মারমারা সাংগ্রাই ১ম দিনকে পেইংছুয়ে(১৩ এপ্রিল)-২য় দিনকে আকেই মুল সাংগ্রাই(১৪ এপ্রিল) ৩য় দিনকে(১৫ এপ্রিল)আক্যে ও ৪র্থ দিনে-আপ্যেইং(১৬ এপ্রিল) আতাদা হিসেবে পালন করে পুরানো বছরকে মুছে ফেলে নতুন বছর গ্রহণের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানীয় উৎসব বা জলকেলী উৎসবের মাধ্যমে তারা যুবক-যুবতীদের একে অপরকে বর্ষ বরণ ও বিদায় বৃষ্টিতে সিক্ত করে। সাংগ্রাই প্রধান উৎসবে কেন্দ্রস্থল মন্দির বা ক্যায়াং ঘরে প্রথম দিনে ভালভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় মেতে উঠে। দায়ক-দায়িকারা টানা তিনদিন অবস্থান নিয়ে দীক্ষায় অভিভূত হয়ে বুদ্দ মূর্তির সামনে ফুল রেখে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রনাম করে। পাড়ার লোকজন ক্যায়াং ঘরে গুরু ভিক্ষু,শ্রমন, সাধু-সাধুমাদের উদ্দেশ্যে ছোয়াইং প্রদান করে। চন্দনের পানি, দুধ ও ডাবের পানি দিয়ে বুদ্দ মূর্তিকে স্নান করানোর মধ্য দিয়ে সূচনা হয় সাংগ্রাই এর নতুন বছর। ঐ দিন তরুণ-তরুণীরা জলবর্তী পাত্র দিয়ে দলে দলে এসে সাংগ্রাইংতে মিলেমিশে জলকেলি বা পানীয় খেলাতে মেতে উঠে। ভাইবোন সকলেই এসে একত্রে আনন্দ করে কুস্তি খেলা নৌকাবাইচ, খৈঞাং ও ধ”খেলাসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।
চাক্মাদের বিজু উৎসব :
পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য আদিবাসীদের তুলনায় চাক্মারা খুব ফূর্তিবাস জাতি। চাক্মারা ১ম দিনে ফুল বিজু, মুল বিজু ও গোজ্যেপোজ্যে উৎসব পালন করে থাকে। উৎসবের প্রথম দিনে ঘরবাড়ী ও আঙ্গিনা পরিস্কার করা ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়। এই দিন পাহাড়ী ছড়া, ঝর্ণা বা নদীতে ফুল ভাসিয়ে দিয়ে মা গঙ্গাকে পূজা করে গোসল করা হয়। এই ছাড়াও পাড়ার যুবক যুবতীরা নদী থেকে পানি তুলে প্রবীণদের গোসল করিলে আশীর্বাদ নেয়। অনেক এলাকায় দল বেঁধে বুদ্ধ মূর্তি গুলোকে গোসল করানো হয়। এরপর সারাদিন প্রস্তুতি চলে পরবর্তী দিন বা উৎসবের মূল দিনের খানাপিনা আয়োজন। উৎসবের ২য় দিনে প্রত্যেকের বাড়ীতে নানা মূখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে ৩০-৩৭ বা তার বেশী আনাসপাতি দিয়ে তৈরী পাচন এবং পানীয় পরিবেশন করা হয়। নানা বয়সী লোকজন সারাদিন দল বেঁধে হৈ-হুল্লা (আনন্দ) আওয়াজ করে ঘুরে বেড়ায়। চাক্মাদের একটা কথা প্রচলন আছে যে ব্যক্তি কমপক্ষে দশটি বাড়ীতে বিজু খাবে না, সে পরবর্তীতে জনমে শুকর হয়ে জন্মাবে। ৩য় দিনে দল বেঁধে মন্দিরে গিয়ে নতুন বছরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা বা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানাদি পালন করা হয়। এই দিন অনেকে পাড়ার বয়স্ক মুরব্বীদের বাড়ীতে ডেকে ভাল কিছু খাবার দেন। আর অনেকের উৎসবের তিনদিন মন্দির, বাড়ীর আঙ্গীনা, নদীর ঘাট, সবুজ গাছের নীচে এবং গোয়াল ঘরে বিভিন্ন দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে মোমবাতি জ্বালান। উৎসবে চাক্মা, মারমা ও ত্রিপুরাদের কিছু বিশেষ আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান থাকে। এরমধ্যে চাক্মাকে বিজু নৃত্য, ত্রিপুরাদের গরাইয়া নৃত্য ও মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব বা পানি খেলা রয়েছে। তবে একমাত্র মারমাদের পানি খেলা ছাড়া অন্যান্য স¤প্রদায় আর তেমন ভাবে এই সব অনুষ্ঠান আয়োজন করে না। অনেক সময় কিছু এলাকায় এই সব উৎসবের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
ত্রিপুরাদের বৈসু :
ত্রিপুরাদের বৈসুক সাধারণত সামাজিক উৎসব। ত্রিপুরারা বাংলা নববর্ষের শেষ দিনটিকে বৈসুমা বা বৈসুকমা, তার আগের দিনটিকে হারি বৈসু এবং নববর্ষ প্রথম দিনটিকে আতাডাক বলে। হরি বৈসুককের দিন তারা বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে ঘর সাজায়, গরু, মহিষ, ছাগলসহ গৃহপালিত পশুদের খুব ভোরে ঘর থেকে ছেড়ে দেয়। ছেলে-মেয়েরা নতুন কাপড় পড়ে এই ঘর থেকে ঐ ঘরে ঘুরে বেড়াই। ত্রিপুরারা তাদের বৈসুমা দিনে তাদের বাড়িতে অতিথিদের মদ, পিঠা, পাচন ও দিয়ে আপায়ন করে ঐ দিন ত্রিপুরা ছেলে-মেয়েরা নুনছড়ি দেবতা পুকুর বা নদী থেকে জল এনে তাদের নানা-নানী, দাদা-দাদীসহ স্থানীয় গুরুজনের স্নান করে তাদের কাছে আর্শীবাদ গ্রহণ করে। বৈসু সময় ত্রিপুরারা গরাইয়া নাচে শিল্পিরা পাহাড়ী পল্লীঘরে ঐতির্য্যবাহী নিত্য পরিবেশন করে। বৈসাবির বর্ষ বরণের দিনগুলোতে ক্ষুদ্র জাতি উৎসবের মাধ্যমে তাদের কৃষ্টি,সংস্কৃতি ধারণ করে ভবিষ্যত প্রজুকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। কাজের ব্যস্ততার আড়ালে সুখ দু:খ, গ্লানি এই দেশের মাটি উর্বর হোক, ফুলে ফলে ভরে উঠুক শস্য ক্ষেত, পরিমিত বৃষ্টি জল-হাওয়া বর্ষিত হোক, প্রবাহিত হোক এই দেশের মাটিতে বসবাসকারী সব সকল জনগোষ্ঠি ও প্রাণীকূল সমান অধিকারে বেঁচে থাকুক এই প্রার্থনার মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের নববর্ষের বর্ণাঢ্য আয়োজন বৈসাবি শুরু ও ইতিবৃত্ত যেন টানা হয়।
এবিএন/চাইথোয়াই মারমা/জসিম/নির্ঝর