শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মুন্সীগঞ্জের হাট বাজার, অলি-গিলতে নিষিদ্ধ জাটকা মাছে সয়লাব

মুন্সীগঞ্জের হাট বাজার, অলি-গিলতে নিষিদ্ধ জাটকা মাছে সয়লাব

মুন্সীগঞ্জের হাট বাজার, অলি-গিলতে নিষিদ্ধ জাটকা মাছে সয়লাব

মুন্সীগঞ্জ, ০৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জের গ্রাম-গঞ্জের হাট- বাজার ও শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ জাটকা মাছ। জেলা শহর, সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রাম ও এর আশপাশের বাজারগুলোতে এখন প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ঝাঁটকা। আর বিক্রেতারাও প্রতিকেজি জাঁটকা বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি দরে। বিষয়টি দৃশ্যমান হলেও স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের ইন্ধনে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জাটকা বিক্রেতারা এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের নদী তীরবর্তী গ্রাম, চর-আব্দুল্লাহ, কালিরচর, বাংলাবাজার, চিতলিয়া বাজার ও বাঘেরহাটে সকাল বিকাল বিক্রি হচ্ছে ঝাটকা মাছ। পহেলা বৈশাখের ইলিশের স্বাদ নেওয়ার জন্য অনেক ক্রেতা সাধারণ বড় বড় ঝাটকা মাছগুলোকে ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন। সাধারন ক্রেতারা কিনছেন প্রতিকেজি ঝাঁটকা ২০০ টাকা করে দাম দিয়ে।

চিতলিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় বিকাল ৫টার দিকে একজন ঝাটকা ব্যবসায়ী প্রায় ১০ মন ঝাটকা নিয়ে আসেন। মুহুর্তের মধ্যে ক্রেতাদের ভিড় পড়ে যায় মাছ বাজারটিতে। ২০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় পুরো ১০ মন ঝাটকা।

গত মঙ্গলবার বিকালে বাংলাবাজারে গিয়েও একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। বাজারটিতে পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম কালিরচর থেকে ৫ জন মাছ বিক্রেতা জাটকা নিয়ে আসে বাজারে। সাংবাদিক দেখে তারা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি যারা বড় বড় চালান কিনে নিয়ে আসে তাদেরকে গিয়ে ধরেন।

কথা হয় বিক্রেতা করিমের সঙ্গে তিনি জানান, আমরা অল্প পরিমান কিনে এনে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু প্রতিদিন এই বাজার থেকে সিএনজি যোগে শত শত মন ঝাঁটকা শহরে যাচ্ছে। তাদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন কোথায় থেকে ঝাঁটকাগুলো নিয়ে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, কালিরচর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য বাচ্চু বেপারীর ছেলে রিপন দীর্ঘদিন ধরে পাইকারী দরে জাটকা মাছ বিক্রি করে চলেছেন। তার থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে এনে স্থানীয় বাজার ও গ্রামগুলোতে ফেরি করে বিক্রি করেন। মাছ বিক্রয়ের ব্যাপারে জানতে চেয়ে পদ্মা নদীর তীরে গেলে পাইকার রিপন সংবাদকর্মীদের দেখে দ্রুত ট্রলার চালিয়ে নদীর মাঝখানে চলে যান। পরে কথা হয় ইউপি সদস্য বাচ্চু বেপারীর সঙ্গে তিনি জানান, অল্প পরিমান মাছ এনেছিল রিপন। আমার ছেলে সব সময় বিক্রি করেনা। কৌশলে ইউপি সদস্য স্থান ত্যাগ করে কেটে পড়েন।

নিষিদ্ধ জাঁটকা বিক্রির বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. অলিউর রহমান জানান, ঝাটকা নিধনের অভিযান চলছে । আমাদের অভিযান চলমান আছে। চুরি চামারি করে জেলেরা ঝাটকা ধরে গ্রামে গঞ্জে হাটে বাজারে বিক্রি করছে এমন কোন তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা কর আসছেন। এ পর্যন্ত অনেক জাটকা জব্দ করা হয়েছে। কেউ জাটকা বিক্রি এবং বিক্রিতে জরিত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/স্বপ্না

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত