সোনাগাজী (ফেনী), ০৬ এপ্রিল, এবিনিউজ : বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে।যার কারণে ষড়ঋতুর বাংলাদেশটা যেন চার ঋতুতে নেমে এসেছে।১৯৯১ সালের পর স্মরনকালের মধ্যে সোনাগাজীতে বসন্তকালে ঘুর্নিঝড়ের নজীর নেই কিন্তু বুধবার বিকালে অসময়ের ঘুর্নিঝড়ে সোনাগাজীর উপকুলীয় অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।কয়েক হাজার মানুষ খোলা আকাশের নীছে রাত কাটিয়েছেন।
হঠাৎ প্লয়নকরী ঘুর্নিঝড়ে পুরো উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন,বুধবার বিকালে ঘুর্নিঝড়ের পর রাতে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে জানা যায় পুরো উপজেলায় ১৩৩০ টি ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ৪০০টি সম্পুন্ন বিধ্বস্ত হয়েছে।৯৩০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।দুর্গত মানুষের জন্য স্কুল ও আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারনরে মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
প্রচন্ড ঝড়ে গাছপালা উপড়ে উপজেলার জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় পড়ে যাওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার বিকালেও স্থানীয় জনসাধারন কে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা পরিস্কার করতে দেখো গেছে।
বুধবার ঘুর্নিঝড়ের পর সংবাদ লিখার সময় পর্যন্ত পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোনাগাজী পল্লি বিদ্যুতের জোনাল অফিস সুত্র জানায়,ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
সোনাগাজী কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম দুলাল জানিয়েছেন ঘুর্নিঝড়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করা হচ্ছে।
ঝড়ের বৃষ্টিতে উপকুলীয় মৎস প্রকল্প প্লাবিত হওয়ার কারনে মৎস চাষীরা অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা।
ঘুর্নিঝড়ের পর আপদকালীন পরিসস্থিতিতে আইনশৃংখলার যাতে অবনতি না হয় সেদিকে সজাক দৃষ্টি রয়েছে এমনি জানিয়েছেন সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউসার।
এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/স্বপ্না