![বরগুনায় ভিজিডি চাল বিতরণের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/04/08/abnews-24.comaab_71394.jpg)
বরগুনা (বরিশাল), ০৮ এপ্রিল, এবিনিউজ : বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরণ তালিকা প্রস্তুত করনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু ও হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে বিত্তবানদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ওই তালিকায়। আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নে প্রায় চারশতটি হিন্দু পরিবারের মধ্যে ভিজিডি প্রাপ্ত পরিবারের সংখ্যা মাত্র ১২টি। এর মধ্যে একটি পাড়ায় হিন্দুদের কোন নামই দেওয়া হয়নি। জানা গেছে, আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলা হিন্দু পাড়ায় প্রায় ৭৫ টি পরিবার বসবাস করে। এদের মধ্যে প্রায় পরিবারই হতদরিদ্র। দিন মজুরের কাজ করে সংসার চলে তাদের। এ পাড়ায় একটি নামও ভিজিডি তালিকায় দেয়নি চেয়ারম্যান ও মেম্বার। বর্তমান সরকার হতদরিদ্রদের সহায়তার জন্য মাসে ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ করেন। কিন্ত ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে ধনাট্য ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ভিজিডি কর্মসূচীর জন্য উপকারভোগী মহিলা নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি করে হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে বিত্তশালীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন সংশ্লীষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। নিয়ম অনুযায়ী গত চার বছর যাদের নাম ভিজিডি তালিকায় ছিল তাদের নাম দেওয়া যাবেনা। কিন্ত সে নিয়মের কোন তোয়াক্কা করেনি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। আয়শা স্বামী এবিএম হোসেন খাজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং ধনাঢ্য পরিবার । তার নাম দেওয়া হয়েছে এবারের ভিজিডি তালিকায়। তাজেনুর স্বামী দেলোয়ার ৯নং ওয়ার্ড। গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা। পরপর তিনবার ভিজিডি সুযোগ নিচ্ছেন। পারুল স্বামী আব্দুল মন্নান তার বাড়ি পূর্ব কেওড়া বুনিয়া থাকলেও ভুয়া ঠিকানা গাবতলী ব্যবহার করে পরপর তিনবার ভিজিডি সুবিধা নিচ্ছেন। অথচ অসংখ্য হতদরিদ্র পরিবার সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এ ইউনিয়নে। খোজ নিয়ে যানা যায়, দিন আনে দিন খাই এ সব পরিবারগুলো কোনো এক অজানা কারনে এখনও অবধি থেকে গেছেন সরকারী সহায়তার বাইরে। শুধু কদমতলা হিন্দু পাড়ায়ই নয়, ইউনিয়নের ভিজিডি সহায়তার তালিকাভুক্ত ২৬০টি পরিবারের মধ্যে হিন্দু পরিবারের সংখ্যা মাত্র ১২টি। আরও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে তালিকায় বিত্তবানদের নাম তুলে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন। আয়লা পাতাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান খোন্দকার আশশাকুর রহমান এ সব অনিয়ম স্বীকার করে বলেন, নানা কোটায় তদবীর রাখতে গিয়ে এমনটা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে তালিকা প্রনয়নে কড়া নজর রাখা হবে বলেও জানান তিনি।এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুরুজ্জামান বলেন, অনিয়মের কিছু মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিএন/তরিকুল ইসলাম/জসিম/তোহা