শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কালকিনিতে সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

কালকিনিতে সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

কালকিনিতে সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

মাদারীপুর, ০৯ এপ্রিল, এবিনিউজ : মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। উল্টো ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার চাঁপেরমুখে কালকিনি থানা পুলিশ উল্টো সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে আটক দেখিয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে। গতকাল শনিবার সাংবাদিক শহিদুলকে চীফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের আদালতের হাজির করার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সূত্রমতে, কালকিনি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগরে হামলার শিকার হয়েছেন কালকিনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম। সাংবাদিককে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে গোটা সাংবাদিক সমাজ। পৃথক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, পেশাজীবি সাংবাদিকদের সংগঠন গৌরনদী প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, উজিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সংবাদ সপ্তাহ পরিবারসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখে অবিলম্বে প্রকৃত আসামি ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের আহবান করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে যায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম। এ সময় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছে এমন ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের ওপর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদল তালুকদারের সমর্থকরা প্রকাশ্যে তাকে একটি গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ নির্যাতনের স্বীকার সাংবাদিক শহিদুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোট ভাই সরোয়ার তালুকদার (৩০) ও নাজমুল খান (১৭) নামের দুইজনকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিকেলে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাঁপের মুখে পরে ওই সাংবাদিকের মামলা না নিয়ে উল্টো থানায় তাকে আটকে রাখা হয়। এরপর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে সাংবাদিক শহিদুলকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে আটকের ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্দু বালার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিমের সাথে সমঝোতা করলেই ওই সাংবাদিককে ছাড়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাসিমের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, সাংবাদিক শহিদুলের নামে একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। ওসির কথা সঠিক নয় যে, আমার সাথে সমঝোতা করলে তাকে ছাড়া যাবে।

এবিএন/কল্যান কুমার চন্দ/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত