বরগুনা (বরিশাল), ০৯ এপ্রিল, এবিনিউজ : বরগুনার তালতলী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলছে নির্বাচনের তোরজোর। প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় বিধি লঙ্গন করছে অনেকেই। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মধ্যে মুখোমুখী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৭জন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুপক্ষের ৬জনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মানসুরুল আলম জানান, শানুর বাজারে তার নির্বাচনী পথসভা শেষে কড়ইবাড়িয়ার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হলে নৌকা মার্কার প্রার্থী মসিম মোল্লার নির্দেশে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তার সাথে থাকা কর্মীদের উপর লাঠি, দা ও রামদা দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক যখম করে। এতে ৭জন আহত হয়েছেন। এরা হলেন, ইলিয়াস হোসেন (২৮), কুদ্দুস (৫০), হিমু (২৮), শফিউল্লাহ(২৫), আলম তালুকদার (৫০), মো. আলামিন (২৯) ও বাদশা তালুকদার। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তার পুত্র ইলিয়াস হোসেন (২৮) ও ভাই কুদ্দুস (৫০) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কর্মী মো. হিমু মিয়াকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোল্লা জানান, তিনি উত্তর বেহালায় তার পথসভা শেষে বাড়ী ফেরার পথে শানুর বাজারে ব্রীজ পেড়িয়ে ওঠার পর পরই আমাদের উপর বিএনপির নেতা কর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পরে। এতে ১১জন আহত হয়েছেন। এরা হলেন, বাবুল হাওলাদার (৩৫), তৈয়ব আলী খান (৫০), নুর জামাল (৩৩),জামাল মোলা (৩৩), মিন্টু মোল্লা (৪০), সাইদুল খান (৩০), হারুন মোল্লা (৩৩), কামাল মোল্লা (৩৪), দুলাল হাওলাদার(৩৫) ও বশার মোল্লা (২৭)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবুল হাওলাদার (৩৫), তৈয়ব আলী খান (৫০), নুর জামালকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষেরই মামলা হয়নি। অন্যদিকে বড়বগী ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা গ্রামের সাবেক ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি শান্তি রঞ্জন তালুকদারের বাড়ীতে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর মিঞা আলম মুন্সির উঠান বেঠক চলাকালে তার একান্ত কর্মী মোঃ আলআমিন চৌকিদারের মটরসাইকেলটি পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃত্তরা। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আওয়ামীলীগের নমিনেশন না পেয়ে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাশেম হাওলাদারের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওসি কমলেস চন্দ্র হালদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কোন পক্ষ থেকে মামলা হয়নি।
এবিএন/তরিকুল ইসলাম/জসিম/তোহা