![ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/04/20/rape@abnews24_71985_72174_73631.jpg)
লক্ষ্মীপুর, ২০ এপ্রিল, এবিনিউজ : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক ছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করেছে ধর্ষকরা। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে সোনাইমুড়ী পৌরসভা মোল্লা বাড়ির জাবেদের ছেলে দিপু, রাজা মিয়ার বাড়ির বাসু মিয়ার ছেলে রুপক উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায় ওই ছাত্রী।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে ছাতারপাইয়া গ্রামের মো. সুমন, আবুল বাশার, আলমগীর হোসেন পাপ্পু, মিজানসহ ৫-৬ জনের সহযোগিতায় সোনাইমুড়ী উপজেলার নদোনা ইউপি থেকে অস্ত্রের মুখে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে দিপু ও রূপক। তাকে ছাতারপাইয়া গ্রামের মো. সুমনের বাড়িতে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
ওই ছাত্রীর চিৎকারে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে একই গ্রামের বাসিন্দা ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান (৫০) ঘটনাস্থলে এসে থানায় সংবাদ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত ও মোখলেছুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
আহত ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা ধর্ষিতার বাবাকে খবর পাঠায় ও তাকে চৌমুহনী ক্লিনিকে ভর্তি করে।
পরে ওই ছাত্রীর বাবা সোনাইমুড়ী থানায় ওই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। সোনাইমুড়ী থানার ওসি ইসমাইল মিয়া জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/মমিন/জসিম