বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মুন্সীগঞ্জে কাউন্সিলরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা

মুন্সীগঞ্জে কাউন্সিলরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা

মুন্সীগঞ্জে কাউন্সিলরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা

মুন্সীগঞ্জ, ২৪ এপ্রিল, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ সদরের পাচঘড়িয়া কান্দি এলাকায় কাউন্সিলর জাকির হোসেনের অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ইউসুফ আলী বেপারি (৫৮) নামে একজন আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে আত্মহত্যাকারীর পরিবারবর্গ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে এই আত্মহত্যা করে। জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনের ৬ দিনের মাথায় অভিযোগকারীর স্বামীর আত্মহত্যা খুবই রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। জাকির হোসেন ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য। নিহতের ছেলে নুরু ইসলাম জানান, জাকির হোসেন আমার বাবাকে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করে আসছে। সে ৫টি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেয় আমার বাবার। এই অভিযোগটি লিখিত আকারে ১৭এপ্রিল জেলা প্রশাসকের নিকট জানানো হয়। নিহতের ভাই মো. ইসমাইল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার ভাই জাকির হোসেনের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে। আমার ভাইয়ের হাতে একটি সুইসাইড নোট ছিল, যা জাকির হোসেন জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে নিয়ে যায়। কি লিখা ছিল তা জানা নেই।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর পুলিশ তদন্ত করে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কাউন্সিলর জাকির হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। ইউসুফ আলীর পরিবারের সদস্যরা আমাকে যেভাবে দোষারোপ করছে তা ঠিক নয়।

জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, আমাকে ১৭ এপ্রিল যেই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল আমি তার দ্রুত ব্যবস্থা নেই। দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। কাউন্সিলর জাকির হোসেনকে ডেকে এনে, দোকান বন্ধ করতে নিষেধ করি এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধা প্রদান করি। তার আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি ব্যথিত হয়েছি। উল্লেখ্য, নিহতের স্ত্রী আছমা বেগম ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগে কাউন্সিলর জাকির হোসনের বিরুদ্ধে ৫টি খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর এবং দোকান বন্ধ করে দেওয়াসহ মামলা তুলে নেওয়ার হুমকী প্রদান করে আসছিল।

এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত