![ভগ্নিপতির অপকর্ম ঢাকতে বিচারপ্রার্থীদের পিটিয়ে জখম](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/05/10/borguna@abnews_77180.jpg)
বরগুনা , ১০ মে, এবিনিউজ: বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্য কতৃক এক গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপাদিতে শালিশের কথা বলে ডেকে এনে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে ঐ গৃহবধুর স্বামী ও ভাইকে এসময় গৃহবধুকেও বেধরক পিটিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাবতলী আশ্রায়নে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে। স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, ৪নং ওয়াডের ইউপি সদস্য লিটন মোল্লা দীর্ঘ্যদিন যাবত তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মস্তোফার স্ত্রী রিনা (৩০) কে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু গৃহবধূ উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তার স্বামী মস্তোফা ও ভাই ইউসুফ হাওলাদারকে জানায়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক তোলপার শুরু হলে মঙ্গলবার সকালে এক শালিস বৈঠকের কথা বলে এলাকার প্রভাবশালী হানিফ মাস্টার মস্তোফা ও ইউসুফকে ডেকে আনা হয়। বৈঠক বসার পূর্বেই হানিফ মাস্টার ও ইউপি সদস্য লিটন মোল্লা মিলে গৃহবধুর স্বামী মস্তোফা ও তার ভাই ইউসুফ হাওলাদারকে সুপারি গাছের কাঠ দিয়ে বেধরক পিটায়। এতে মস্তোফার মাথায় প্রচন্ড জখম হয়।এবং ইউসুফের সমস্ত শরির কালো দাগ হয়ে গেছে। আহতদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আহত ইউসুফ জানান, আমার বোনকে লিটন মোল্লা প্রায়ই খারাপ প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি আমি ¯’ানীয় গন্যমান্যদের অবহিত করেছি। এসপির ভাই হানিফ মাষ্টার আমাকে ডেকে নেয় শালিশ করে লিটন মোল্লার সাথে মিলিয়ে দিবে বলে।কিন্ত মঙ্গলবার সকালে আমি ও আমার স্ত্রী নাছিমা বেগম আশ্রায়নে শালিশ স্থলে গেলে হানিফ মাষ্টার, লিটন মোল্লা, জাহিদ মোল্লা, ইদ্্িরস মোল্লা, হুমায়ুন, জুয়েল মোল্লা, মামুন মোল্লা, সুমন, মনির গাজী ও বারেক কাজীসহ প্রায় ১০/১২জন মিলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে শুপারি কচাদিয়ে এলোপাথারি পিটায়। আমাদেরকে রক্ষা করতে আমার বোন রিনা ও তার স্বামী মস্তোফা ছুটে আসলে লিটন মোল্লা মস্তোফার মাথায় কোপ দেয়। হানিফ মাস্টার এসপির ভাই আর লিটন মোল্লা এসপির ভগ্নিপতি হওয়ার কারনে আমরা তাদের নির্যাতনের শিকার। গৃহবধু রিনা জানান, লিটন মেম্বার প্রায়ই আমাকে খারাপ প্রস্তাবদিতো আমি তাকে বারবার ফিরায়ে দিলে সে আমার উপর ক্ষিপ্তহয়। আমরা গরিব আবাসনে থাকি। মান সম্মানের ভয়তে কিছুই বলতে পারিনা। বাধ্য হয়ে বিষয়টি আমি আমার স্বামীকে জানালে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে এভাবে মেরেছে। আমরা গরিব এজন্যকি বিচার পাবোনা। বিষয়টি জানতে চাইলে ইউপি সদস্য লিটন মোল্লার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি জানতে চাইলে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, থানায় কেহ অভিযোগ দেয়নি । অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থ নেয়া হবে।
এবিএন/তরিকুল ইসলাম/মমিন/জসিম