![নড়াইলে একজনকে কুপিয়ে হত্যা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/05/13/2154.abnews24_77525.jpg)
খুলনা, ১৩ মে, এবিনিউজ : নড়াইল সদরে জিল্লূর রহমান নামে (৪৫) এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সঙ্গী তরিকুল ইসলামকেও (২৩) কুপিয়ে আহত করা হয়। নিহত জিল্লুর রহমান সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কোমখালী গ্রামের বাসিন্দা। পূর্বশত্রুতার জের ধরে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার।
নিহতের সঙ্গী পাশের সিঙ্গিয়া গ্রামের সহিদ বিশ্বাসের ছেলে সাজ্জাদ (২৪) জানান, রাতে নড়াইল সদর থানায় কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে করে মাগুরার শালিখা উপজেলার গজনগর গ্রামের আজবাহারের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান জিল্লূর ও তরিকুলসহ তারা তিনজন। দাওয়াত খেয়ে রাতেই তারা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। ফেরার পথে সিঙ্গিয়া গ্রামে পৌঁছানোর পর তাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে অপর সঙ্গী তরিকুলকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিরেন জিল্লুর।
আহত তরিকুল ইসলাম জানান, কোমখালী গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় তার (তরিকুল) বাড়িতে এগিয়ে দেওয়ার জন্য রওনা হলে রাত আড়াইটার দিকে সিঙ্গিয়া গ্রামের কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং বেপরোয়াভাবে কোপাতে থাকে। তরিকুল দাবি করেন তার পায়ে একটি কোপ লাগলে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে নেমে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা জিল্লুর রহমানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতের মুখমণ্ডল কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া বুক, পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের মেয়ে মনিরা পারভীন (২৫) দাবি করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাদের গ্রামের প্রতিপক্ষরা তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন।
এলাকাবাসী জানান, নিহত জিল্লুর রহমান পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। এলাকার লোকজনকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তার চারটি স্ত্রী রয়েছে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এবিএন/শংকর রায়/জসিম