শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বান্দরবানের থানচিতে গো-মড়কে শতাধিক গবাদিপশুর মৃত্যু

বান্দরবানের থানচিতে গো-মড়কে শতাধিক গবাদিপশুর মৃত্যু

বান্দরবানের থানচিতে গো-মড়কে শতাধিক গবাদিপশুর মৃত্যু

বান্দরবান, ১৬ মে, এবিনিউজ : জেলার থানচি উপজেলায় গো-মড়কে শতাধিক গরু-ছাগল এবং গৃহপালিত শুকুরের মৃত্যু হয়েছে গত ৭দিনে। এসব গবাদিপশু মারা গেছে বিনা চিকিৎসায় অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী না থাকায় এলাকবাসী তাদের গবাদিপশুর কোন চিকিৎসা সুবিধাও পাচ্ছেন না। কেবল গত বুধবার থেকে মংগবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক গরু-ছাগল এবং গৃহপালিত শুকুর মারা গেছে গো-মড়কে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনুুপস্থিতি এবং ভ্যাকসিন না থাকায় গো-মড়ক দমন করা যাচ্ছে না। ফলে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গো-মড়ক,অসংখ্য গরু-ছাগল এবং শুকুর মারা পড়ছে। এ কারণে উপজেলার বলিপাড়া,তিন্দু,রেমাক্রি এবং থানচি সদর ইউনিয়নের কৃষকরা মহাচিন্তায় পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান,গত বুধবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানচি উপজেলা সদরের বাজারে ব্যবসায়ী সামশু ইসলামের ২টি,টিএন্ডটি পাড়ার নুরুল আমিনের ১টি,কামরুল ইসলামে ১টি,থানা পাড়ার মোস্তাক আহম্মদের ১টি,ফজল মিঞার ১টি,ছাংদাক পাড়া নিবাসী পুলুখয় মারমার ১টি,বাজার পাড়ার সিরাজ সওদাগরের ১টি,নজির আহম্মদের ১টি,বয়ক হেডম্যান পাড়া রানি দাশের ১টি গরু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যায়। বয়ক হেডম্যান পাড়ার চিংক্য ম্রো বলেন,নাইন্দারী পাড়া,ছাংদাক পাড়া,মরিয়ম পাড়া, হেডম্যান পাড়া, টিএন্ডটি পাড়া, বাজার পাড়া, থানচি হেডম্যান পাড়াসহ আশে পাশের পাড়াসমুহে গৃহপালিত গরু,ছাগল ও শুকুর মরছে অসুস্থ হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই।

এ বিষয়ে থানচি বাজার পরিচালনা কমিটি সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান,র্দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় গত তিন বছর ধরেই গরু,ছাগল,হাস-মুরগী এবং শুকরগুলো বিান ভ্যাকসিনে রয়েছে।

থানচি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে কাগজপত্রের তথ্য মতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.কাজী আসরাফুল ইসলাম,ভেটারিনারী সার্জন ডা.খন্দকার মঈনুল হুদা, কর্মচারী জসিম উদ্দিন,মানষ কুমার দে,অফিস সহকারী মো.জাহেদুল ইসলাম কৃত্রিম প্রজন্ম বিভাগের মনিকা তংচংগ্যা নিয়োগ থাকলেও তারা কর্মস্থলে কখনও থাকেন না,মাত্র মাসের প্রথমদিকে বেতন-ভাতাদি গ্রহণের জন্যে একবার থনাচিতে গিয়ে থাকেন। উজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা বলেন, ২০১৪ সালে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে দেখিনি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন,অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গরু-ছাগল ও শুকর এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে বিশেষ করে পকড়া রোগ ও খোঁড়া রোগ হতে পারে। সুস্থ অবস্থায় গবাদিপশু ভেকসিম টিকা পেলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।

এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত