শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মুন্সীগঞ্জে চরদখলের ন্যায় ক্যাবল ব্যবসা দখল : সংঘর্ষের আশংকা

মুন্সীগঞ্জে চরদখলের ন্যায় ক্যাবল ব্যবসা দখল : সংঘর্ষের আশংকা

মুন্সীগঞ্জে চরদখলের ন্যায় ক্যাবল ব্যবসা দখল : সংঘর্ষের আশংকা

মুন্সীগঞ্জ, ১৬ মে, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেয়ার ইউনিয়নের দক্ষিন চরমুশুরা গ্রামের একটি ক্যাবল ব্যবসা দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এক কথায় চরদখলের ন্যায় দখল করে ব্যবসা করছে এই সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ দিন যাবৎ সন্ত্রাসী বাহিনী অন্যের ক্যাবল ব্যবসা দখল করে রেখেছে। মূল মাকিদের ওখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনও হতে পারে দুই গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। এলাকায় টান টান উত্তেজনা দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় দক্ষিণ চরমুশুরার জয়ানাল, আল আমিন, শ্যামল, নাজমুল, প্রায় পাঁচ শত ক্যাবল লাইন গ্রহনকারী হতে মাসে ১৫০ হইতে ২০০ টাকা হারে জোর পূর্বক ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে। ক্যাবল ব্যবসার মালিকরা এই ভাড়ার টাকা উঠাতে পারছে না। তারা নিজেরা তাদের নামে ক্যাবল ব্যবসার নাম পরিবর্তন করে কার্ডও তৈরী করেছেন। পূর্বের মালিকের কার্ডে লেখা আছে সাউদ ক্যাবল নেটওয়ার্ক যার মালিকানায় রযেছে আল ইসলাম। অপরদিকে সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবসা দখল করে নতুন কার্ড তৈরী করেছেন যার নাম দিয়েছেন জে. বি. এম সাউন্ড ক্যাবলস্ যার প্রো: জাহাঙ্গীর। এলাকায় ঘুরে জানা যায় জাহাঙ্গীর একজন সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও গুম, খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে। এ ব্যাপারে ক্যাবল ব্যবসার মূল মালিক দাবীদার আল ইসলাম জানান, আমরা আমাদের এলাকাতে গুটি কয়েক সন্ত্রাসীর কাছে জীম্মি হয়ে পরছি। আমরা সংখায় লোক বেশী হলেও সন্ত্রাসীদের আধুনিক অস্ত্রের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছি না আমরা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে চরম মূল্য দিতে হয়। শহর মুখী হলে তাদেরকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে চরম আতংকে এলাকাবাসী। মো. আল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্যাবল ব্যাবসা, আমাকে মেরে ফেলার হুমকী তো দিচ্ছেই আর এলাকার কেউ কথা বললে গ্রাম থেকে বাহির করে দেওয়ার হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয় চরকেওয়ার ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ মন্টু দেওয়ান জানান, আমি এলাকার কিছু নামধারী সন্ত্রাসীদের বিষয় প্রশাসনকে অবগত করেই যাচ্ছি, কিন্তু কোন ফল দেখতে পাইতেছি না। তিনি দু:খ করে বলেন, আমরা ছোট মানুষ কি করে দেখবো? সাবেক মেম্বার মো. বিল্লাল জানান, এই ক্যাবল ব্যাবসার সাথে আমি একজন পার্টনার ছিলাম। সন্ত্রাসী জয়নাল ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর অন্যতম সহযোগী আল-আমিন, নয়ন, শ্যামল, নাজমুলরা এলাকায় চরম আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে। আতংকে আমরা আমাদের ক্যাবল ব্যাবসার টাকা উঠাতে পারছি না। জবর দখল করে তারা তুলে নেচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কিছু বললেই মেরে ফেলার হুমকীও দিচ্ছে তারা। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। তাদের সাথে সব সময় থাকে বিদেশী অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়ে নদীপথে তারা ডাকাতি করে। জয়নাল ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর ভয়ে এলাকার সবাই চরম আতংকে দিনতিপাত করছে। বিল্লাল আরো বলেন, জাহাঙ্গীর বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে সবাই চুপ থাকতে বাধ্য। কারণ তাদের কাছে আছে শহরের ক্ষমতা ও অস্ত্র । স্থানীয় শাজাহান খা বলেন আমি ও আমার ছেলে সাউদ ক্যাবলে কাজ করতাম জাহাঙ্গীর, জয়নাল, নাজমুল গং আমাকে মারধর করে অফিসের চাবি ছিনিয়ে নেয়। গত ২ মাস পূর্বে আমার ছেলেকে মারধর করে এবং বলে কারো কাছে বিচার দিলে পুনরায় মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ বিষয় আলীরটেক গ্রামের নান্নু বেপারী পিতাঃ আহন্মদ বেপারী কে ফোন করা হলে সে তার বক্তব্যে বলেন যাহারা আপনাদের কাছে নালিশ করছে তারাও এখনো পার্টনার আছে। আমরা যখন গ্রাম ছাড়া ছিলাম তখন ওরা (আল ইসলাম, মন্টু মেন্বার গংরা) ক্যাবল লাইনের টাকা তুলে খেয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, দক্ষিণ চরমুশুরা ইতিমধ্যে পুলিশ অবস্থান করছে। ঐ সকল এলাকায় যাতে কোন ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এবিএন/আব্দুস সালাম/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত