![শাবি ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/05/21/sust-chatroleague_79025.jpg)
সিলেট, ২১ মে, এবিনিউজ : সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলাটি সিলেট নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদ রিয়াদ ও মাহমুদুল হক রুদ্র।
এ ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ রবিবার এ পরোয়ানা জারি করেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুহিতুল হক।
এই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ রিয়াদ ও মাহমুদুল হাসান রুদ্রর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৭-৮ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। বিচারক মোহিতুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ৪ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত দলের প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ তাসলিমা শারমিন। এতে ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মশরুর চৌধুরী শওকত জানান, গত ৮ এপ্রিল বিকালে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া ওই ছাত্রী তার ফুফাত ভাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে যান। এ সময় শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালান বিবাদীরা।
হামলায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নাবিউল আলম দিপু ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাসও।
এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।
মামলা দায়েরের পর ওই দিনই বিচারক মুহিতুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা তাসলিমা শারমিন এই তদন্তের দায়িত্ব পান।
জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে তাসলিমা শরমিন উল্লেখ করেন, ভিকটিমের প্রতি আসামি রিয়াদ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে ও সিগারেটের ধোয়া ছুড়ে। আসামি রুদ্র ওই মেয়েকে চড়-থাপ্পর মারে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অপরাধ সংঘটিত করছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এই আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সাক্ষী নবিউল দিপু ও সর্দার আব্বাসকে মারধর করেছে বলেও প্রমাণ মিলেছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি