শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামের ভবন এখন নেশাখোরদের অভয়াশ্রম

মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামের ভবন এখন নেশাখোরদের অভয়াশ্রম

মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামের ভবন এখন নেশাখোরদের অভয়াশ্রম

মুন্সীগঞ্জ, ২৫ মে, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামের পরিত্যাক্ত ভবন এখন নেশাখোরদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। এখানে রাত যত বৃদ্ধি পায় তত নেশাখোরদের উৎপাত বাড়ে। নেশাখোররা নির্বিঘে নেশা করার জন্য এই পরিত্যাক্ত ভবনটি বেছে নিয়েছে। পরিত্যক্ত ভবনটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকায় মাদকসেবীরা এই জায়গাটি বেছে নিয়েছে। এই ভবনটির দোতলা ছিল গণগ্রন্থাগার। এখন পরিত্যাক্ত ভবনের সিড়ি দিয়ে দোতলায় চলে অসামাজিক কাজ ও মাদক ব্যবসা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেনসিডিলের বোতলের অভাব নেই ওখানে, ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম, নেশাজাতীয় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর সিরাপের বোতলও পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামের ভবন এখন নেশাখোরদের অভয়াশ্রম

মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম একটি নাম, একটি সু-নামের জায়গা, যেখানে তৈরি হয়েছে আমাদের জাতীয় ফুটবলার তৈরীর অন্যতম একটি নাম মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বলা যায়, বাংলাদেশের সেই নামের অংশে শ্রী স্বপন দাশ, মুকুল দাশ, নওশার, প্রতাপ সংকর হাজরা, আরিফুজ্জামান, রবিন, তারেক, আলফাজ ডন, নজরুল, খোকা, পিকলুছ, বাচ্চু, তারিক কাশেমখান মুকুল, রিপন সহ আরো অনেকেই জাতীয় দলের সুনাম অর্জন করে মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে সারাবিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। কারো মতে বলা হয় বাংলাদেশে ফুটবল মানেই মুন্সীগঞ্জ খেলোয়াড় ও দর্শকবৃন্দ। আর এতো কৃতিমান খেলোয়াড়দের জন্ম ভুমির স্টেডিয়ামের পেভিলিয়ান জরাজীর্ণ, পরিত্যাক্ত। আর সেই পরিত্যাক্ত রুমে চলে নেশার আড্ডা, অনৈতিক কার্যকলাপসহ আরো অনেক কিছুই যাহা আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয়ের বাসভবনের সামনেই। তাহলে বিষয়টি কি এমন যে, অনৈতিক কাজ যারা করছে তারা প্রশাসনকে ভয় পায় না? বা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করেন? অথবা স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের কোন দায় নাই? জরাজীর্ণ প্যাভিলিয়নের এই পরিত্যাক্ত ভবনটিতে এখন এমন কোন নেশা নেই যা চলছে না।

সবনেশার আলামত সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিললো। এতো গুনিজন, নামী দামী খেলোয়াড়দের স্টেডিয়াম। কেন এতো অবহেলা আর অযত্ন? নানা মানুষের নানান কথা, নানা প্রশ্ন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জৈনক ব্যাক্তি বলেন, অসাধু লোকদের দিয়ে ক্রীড়া সংস্থার কমিটি করাই এক ধরনের বোকামি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল, রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ যুগে যুগে মাঠের দুর্নীতিকে লালন করে জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের নামী দামী খেলোয়াড় তৈরী হয়েছিল মুন্সীগঞ্জ। আজ সেই মুন্সীগঞ্জ জেলায় কোন জাতীয় মাঠ নেই। কেন নেই? এমন প্রশ্ন করে বসলেন অনেকে। আর যাও আছে তা তো দেখছেনই, কতো সুন্দর নেশা করার জন্য খুবই নিরাপদ জায়গা।

বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাঃ হারুন অর রীশদ মহোদয়কে অবহিত করলে তিনি বলেন, নেশার বিষয়টি আমি এই প্রথম জানলাম, কেউ আমাকে কিছুই বলেনি, আমি বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়কে দিয়ে খুবদ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/ইমরান

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত