![মুন্সীগঞ্জ কারাগারে মহিলা কয়েদি গর্ববতী : গর্ভপাত!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/05/29/munshigoang-map_80330.jpg)
মুন্সিগঞ্জ, ২৯ মে, এপ্রিল, এবিনিউজ : মুন্সীগঞ্জ কারাগারে ময়না (৩৫) স্বামী সিরাজ বর্তমান জেলহাজতের ঠিকানায় হাসপাতাল এনে গর্ভপাত করার অভিযোগ উঠেছে । কারাগার মহিলা পুলিশ জানান ময়না ৪/৫মাসের গর্ভবতী । ১ মাস হয় আমাদের কারাগারে চুরি মামলায় আটক আছেন । নানাজনের নানান কথা, ময়না কে একপলক দেখার জন্য প্রায় ৫ ঘন্টা অপেক্ষার পর মূমূর্ষু অবস্থায় দেখা মিলে হাসপাতালের ট্রলিতে ।
হাসপাতালে কারা পুলিশ ও থানা পুলিশের কড়া প্রহরায় ময়নার গর্ভপাত ঘটান বলে একটি সূত্র জানায়। হাসপাতালের রেজিঃ খাতায় ময়নার তেমন কোন পরিচয় নাই, যা আছে তা মাত্র কারাগারের ঠিকানায়। এ সময় হাসপাতালে মহিলা কারারক্ষি সহ জেলা পুলিশ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় কারা পুলিশ (মহিলা) সংবাদ কর্মীদের এড়িয়ে অযাচিত আচরণ করেন। আসামীর দেশের বাড়ীর কোথায় কি মামলা তা তেমন কিছুই কারা কর্তৃপক্ষ বলেনি ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য বলেন একমাস হয় এই মহিলাকে কারাগারে আনা হয়, তাহার বিরুদ্বে চুরির মামলা রয়েছে বলে জানান।
এমন সময় হাসপাতাল আসা আবুল হোসেন রোগীর ভিজিটর বলেন কারো কথার সাথে কথার মিল নাই, সকাল থেকে মহিলা আসামী বড় কিছু না হলে কারাগার গেট থেকে বাহিরে কেন আনবে ? কয়েক মাস আগেও এক মেয়ে আসামীকে ধর্ষন করে এক কয়েদী।
মুন্সীগঞ্জ জেলারকে ফোন করলে তিনি বলেন আমরা মহিলা আসামীদের রুটিন মাফিক গাইনী চেকাপ করে থাকি সেই হিসেবে ময়নাকেও চেকাপ করার জন্য হাসপাতাল পাঠাই।ময়নার তেমন কিছুই হয়নাই। ময়নাকে এইনিয়ে তিনবার রুটিন চেকাপ করি । প্রয়োজনে আমার অফিসে এসে যে কোন তথ্য জেনে নিতে পারেন।
কারাগার ফার্মাসিস্ট নাজনিন ফোন করলে তিনি বলেন মহিলা কয়েদী দুই বছরের সাজা নিয়ে জেলখানাতে গর্ভাবস্থায় আসেন।আমি বিষয়টি গত দেড়/ দুই মাস আগেই তাহার বিষয় অবগত আছি।মহিলা কয়েদীর যা চিকিৎসা মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালেই করছেন ।পূবে যে ধর্ষনের কথা বলা হয় তাহা সত্য না, ঘটনা যদি হয়ে থাকে তবে সাথে সাথে বললেই কারা-কর্তৃপক্ষ ব্যাবস্থা নিতেন বলে প্রতিনিধিকে জানান নাজনিন।
এবিএন/আতিকুর রহমান টিপু/জসিম/ইমরান