মানিকগঞ্জ, ২৯ মে, এবিনিউজ : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফলসটিয়া-মাচাইনজিসি ভাড়াশাকরাইল বাজার সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ করার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কোনো কাজ না করেই তা ফেলে রেখেছে। আর তার কারনে এ সড়কে চলাচল কারি হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফলসটিয়া-মাচাইনজিসি ভাড়াশাকরাইল বাজার রাস্তার দারোগার পুকুরপাড় হতে রঘুনাথপুর পর্যন্ত ১২০০ মিটার কার্পেটিং করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কার্যাদেশ পায় এম এম ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ৬৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে গত অক্টোবরে কাজ শুরু হয়। গত এপ্রিলে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। শুধুমাত্র রাস্তার দুই পাশে সামান্য উঁচু করে মাটি ফেলা হয়েছে। এতে অল্প বৃষ্টি হলেই চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সব চাইতে বড় কাঁচা মরিচের আড়ৎ উপজেলার বরংগাইল এলাকায়। আড়তে যে মরিচ আসে তার ৬০ ভাগই এ রাস্তা দিয়ে আসে। রাস্তায় কাজ না করা ও মাটি ফেলার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ড্রেনের রূপ ধারণ করে। মহাদেবপুর ইউনিয়নের মেম্বর দেলোয়ার হোসেন জানায়, মেয়াদ শেষ হয়ে গেল কিন্তু আমাদের রাস্তার কাজ শেষ হল না। এটা কি করে হলো তা খতিয়ে দেখা দরকার। রঘুনাথ পুর বাজার কমিটির সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন জানায়, গত সাত মাস ধরে ঠিকাদার কোনো কাজ না করলেও বরং অকাজ করেছে। রাস্তার দুই পাশে সামান্য মাটি না দিলে আমরা চলাচল করতে পারতাম। এখন মাঝখানে পানি জমে চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম ট্রেডাস এর মালিক মোজাহার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এলজিইডির শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, মূল ঠিকাদারের ফোন নম্বর আমার কাছে নেই। সময় পার হয়ে গেল কিন্তু এখনও ঠিকাদার কোনো কাজ করল না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু তারা কাজ করেনি। তবে আমরা তাদের চাপে রেখেছি। এলজিইডির মানিকগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী আ. বারেক হাওলাদার জানায়, যেহেতু তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করেনি, তাই আমরা তাদের জরিমানা অথবা কাজ বাতিল করতে পারি। তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মূল মালিকের কোনো মোবাইল বা ফোন নম্বর তার কাছে নেই। সময়বৃদ্ধির কোনো আবেদন তারা করেছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময় বৃদ্ধির আবেদন করেননি। এম এম ট্রেডার্স এর পার্টনার তৌহিদ হাসান বলেন, বৃষ্টিসহ নানা কারণে আমাদের কাজ করা হয়নি। আমরা আগামী নভেম্বরের আগে কাজ শেষ করতে পারব না।
এবিএন/সোহেল রানা খান/জসিম/তোহা