ঢাকা, ৩০ মে, এবিনিউজ : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একটি অন্যতম বৃহৎ সেনা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের নীতিমালা অনুসরণ করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনুশীলন ও প্রস্তুতি উভয়ক্ষেত্রেই বাস্তবভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৬ মে) (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সশস্ত্র সংঘাতের সময় ‘বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও চিকিৎসা সেবা’ বিষয়ক এক উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
ইতোপূর্বে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন- বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও চিকিৎসাসেবার বিষয়টি মূলধারায় রেখে আমরা আমাদের সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের জন্য শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সবর্দাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন- কেবল সামরিক শক্তির মাধ্যমে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ক্ষণস্থায়ী হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না দ্ব›দ্ব, প্রতিরোধ এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য অর্থবহ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনীতে ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মে মাসের প্রেসিডেন্ট উরুগুয়ে এই উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, গতবছর এসময়েই নিরপত্তা পরিষদ এ সংক্রান্ত রেজুলেশন ২২৮৬ গ্রহণ করে। রেজুলেশন ২২৮৬ গ্রহণের একবছর পূর্তিতে এমন একটি উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করায় উরুগুয়েকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
এবিএন/তৈয়বুর রহমান টনি/জসিম/ইমরান
© আবহমান বাংলা মিডিয়া লিমিটেড কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
