শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ভাঙ্গুড়ায় অ্যানথ্র্যাক্স আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

ভাঙ্গুড়ায় অ্যানথ্র্যাক্স আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

ভাঙ্গুড়া (পাবনা), ০৪ জুন, এবিনিউজ : অ্যানথ্র্যাক্সের আলামত সংগ্রহে আইইবিসিআর তদন্ত দল মাঠে । অ্যানথ্র্যাক্স সংক্রামক হয়ে দেখা দেয়ায় ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

অ্যানথ্র্যাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস কাটা ও ধোয়ার কাজে জড়িত ব্যক্তি ছাড়াও যারা এর বর্জ্য সরানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগে বর্তমান অসুস্থ লোকের সংখ্যা ২৫ ছাড়িয়েছে। আলাউদ্দিন (১৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ৯ জনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে ডা. শাহাদত হোসেন জানিয়েছেন।

এদিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার আদর্শ গ্রাম, চৌবাড়িয়া ও ফরিদপুর উপজেলার জন্তিহার গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে অ্যানথ্র্যাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইত্তেফাকে রবিবার এ সংকান্ত একটি খবর প্রকাশ হয়।

রোগ তথ্য, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইবিসিআর) মহাখালী, ঢাকা থেকে ডা. মল্লিক মামুন বিল্লাহর নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দলও রবিবার ভাঙ্গুড়া এবং ফরিদপুর উপজেলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় তারা অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন ডা. ফয়সাল তালুকদার ও টেকনোলজিস্ট আব্দুল মালেক। ডা. মল্লিক মামুন বিল্লাহ বলেন, 'এটি অ্যানথ্র্যাক্সই বটে তবে তারা প্রয়োজনীয় আলামত নিয়েছেন পরীক্ষার পর আরো পরিষ্কার হবে।'

উল্লেখ্য, নিহত ও আক্রান্ত ব্যক্তিরা গত শুক্রবার জন্তিহার গ্রামের হাজী আব্দুল কাদেরের একটি অসুস্থ গরু জবাই এবং ওই গরুর মাংস কাটার কাজে জড়িত ছিলেন। জানা গেছে ওই মাংস প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা দরে গ্রামবাসীর কাছে বিক্রিও করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন কসাই রয়েছেন। অবশিষ্টরা হাজী আব্দুল কাদেরের আত্মীয় ও গ্রামবাসী। এদিকে রবিবার সারাদিন আক্রান্ত এলাকায় অ্যানথ্র্যাক্স প্রতিরোধ সচেতনতায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলে ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা যথাক্রমে ডা. তোফাজ্জল হোসেন ও ডা. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত