![কমিটি বিলুপ্তির ৬৮ দিনেও হলোনা জবি ছাত্রলীগের কমিটি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/07/abnews-24.com-abbbbbbb_81960.gif)
জবি (ঢাকা), ০৭ জুন, এবিনিউজ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির ৬৮ দিনেও কমিটি দিতে পারেনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসংদ। তবে কবে হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নেতা-কর্মীদের মাথায়। জবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার ৬৮ দিন পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি ঘোষণা করেনি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদ। এজন্য সাধারণ কর্মীদের মধ্যে কমিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে এক ধরনের ক্ষোভ আর হতাশা। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর গত ৩০ মার্চ জবি শাখা ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সম্মেলনকে ঘিরে বিগত মাসগুলোতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পদচারণয় মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস। সম্মেলনের পর মুখরিত ক্যাম্পাস ঝিমিয়ে পড়েছে, সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। পদপ্রার্থী নেতারা ক্যাম্পাস ছেড়ে সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে লবিং তদবিরে ব্যস্ত।
এই সুযোগে ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছে ছাত্রদল। গত আট বছরে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে না পারলেও খালি ক্যাম্পাসে প্রচার প্রচারণা ও শো-ডাউন করছে ছাত্রদল। গত কিছুদিনে তারা জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান বিপ্লবের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ধারাবাহিতায় লিফলেট বিতরণ করেন ও শো-ডাউন করেন। ছাত্রদল নেতারা ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান ভবন, শহীদ মিনার, ভাষা শহীদ রফিক ভবন, কলা ভবন, ভাস্কর্য চত্বর, নতুন ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, মেইন গেট দিয়ে টিএসসিতে সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে এ লিফলেট বিতরণ করেন। গত কিছু দিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতাকর্মীদের আড্ডাস্থল গুলো ফাঁকা পড়ে আছে। ছাত্রলীগের আড্ডাস্থল ভিসি ভবন চত্বর, শহীদ মিনার, ভাষা শহীদ রফিক ভবন চত্বর, শান্ত চত্বর, কাঁঠাল তলা ও ছাত্রলীগের টেবিল (পোগজ স্কুলের পাশে) খালি পড়ে আছে। এখন এসবে আড্ডা জমিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগে উদীয়মান আর প্রবীণ কোনো গ্রুপেরই শো-ডাউন দিতে দেখা যায়নি। নীরব জেঁকে ধরেছে জবি ছাত্রলীগকে । এখন অপেক্ষা শুধু নতুন নেতৃত্বের। তবে উদীয়মান নেতারা কেউ ক্যাম্পাসে না এলেও সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চুপিসারে ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্ন টেন্ডারের ব্যাপারে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সিন্ডিকেটের সদস্যদের পছন্দের প্রার্থীদের বাদ পরার কারণে কমিটি ঘোষণা করতে দিচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এবি নিউজকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাইছেন দ্রুত কমিটি দিতে। সংগঠনের সাবেক নেতারা তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের দুটি শীর্ষ পদে বসানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন।’ এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা আগে নেতা হওয়ার মতো ছিল তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এজন্য দেরী হচ্ছে। আমরা খুব শীঘ্রই জবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করব। এদিকে ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগে যারা শীর্ষ পদ প্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন সম্মেলনের পর তাদের অনেকেই লবিং তদবিরে পিছিয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। শেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত শীর্ষ পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক আপেল মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল্লাহ ইবনে সুমন, উপ- প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান শিশির, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিন , আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শেক রাসেল।
এবিএন/ওবায়দুল হক/জসিম/তোহা