শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

প্রক্টর জানলেও পুলিশ জানে না জবি শিক্ষর্থীর সন্ধান

প্রক্টর জানলেও পুলিশ জানে না জবি শিক্ষর্থীর সন্ধান

ঢাকা, ৭ জুন, এবিনিউজ : আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৩-১৪ সেশনের) ছাত্র সাদেকুল ইসলাম মিলনের কোন সন্ধান দিতে পারছে না পুলিশ, এদিকে পেরিয়ে গেছে ৯ দিন । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে তার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সন্ধান পাওয়া গেছে বললেও স্পষ্ট কোন তথ্য দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ২৩ মে রাত ৩টার দিকে রাজধানীর আদাবর থানার ৫নং রোডের ৭নং বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মিলনকে। ঘটনার দিন আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়। যার নং-১১৫৯।

আদাবর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আল মামুন এবি নিউজকে বলেন, আমি র্যাব অফিস , ডিবি অফিস সব জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছি। কোথাও কোন তথ্য পাই নি। আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ যত উপরে পর্যন্ত উঠা যায়, আমি গিয়েছি। কিন্তু কোথাও কোন তথ্য পাচ্ছি না।

তবে বিশ্ববিদ্যলয় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ এবি নিউজকে বলেন, আমরা তার সন্ধান পেয়েছি। সে পুলিশ কাস্টরিতে আছে এবং ভালো আছে। আমরা তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।

সন্ধানের তথ্য কার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তার কোন স্পষ্ট তথ্য দিতে পারে নি জবি প্রক্টর। তিনি শুধু বলছেন আমরা জানি , আমাদের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

তবে একই তথ্য মিলনের পরিবারকে জানানো হয়েছে বলে জানালেন মিলনের বোনের ছেলে আল আমিন। আল আমিন বলেছেন, জবি থেকে চেয়ারম্যান ফোনে জানিয়েছে মিলন মামাকে পাওয়া গেছে। সে নাকি মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে আছে। এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারিনি আমরা।

মিলনের বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পরিমল বালার কাছে জানতে চাইলে তিনি এবি নিউজকে বলেন, আমি ছাত্রদের মুখে শুনেছি মিলনকে পাওয়া গেছে। কিন্তু আমি কাউকে ফোনে জানাইনি। আমিও কোন প্রশাসনিক ভাবে তথ্য পাইনি।

জবি পদর্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিলনের তথ্য নিয়ে এমন অসংলগ্ন বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা গেছে নানান প্রশ্ন । যেখানে ৩০ মে সন্ধ্যায় মিলনের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের কাছে প্রথমে এক লাখ টাকা, কয়েক ঘন্টা পর ৬০ হাজার এবং সর্বশেষ ৩১ মে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে দুবৃত্তরা।

এমন ঘটনায় সন্তানের খবর না পেয়ে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে বিছানায় পড়েছেন মা।

ছাত্রনেতারা বলছে, যেখানে মুক্তিপন চাওয়া হয়েছে, সেখানে আবার সন্ধান আছে প্রক্টরের কাছে।আবার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দেন না তিনি। একই ঘটায় তদন্তকর্মকর্তা (পুলিশ) উপ পরিদর্শক আল মামুন প্রসানশনের উপর মহলে দৌড়িয়েও কোন তথ্য পাচ্ছেনা। এমন অসংলগ্নতা সাধরণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি করেছে ব্যাপক চাঞ্চল্যতা। জাগিয়েছে নানা প্রশ্ন। তাহলে কি প্রক্টর সবই জানেন? শেষ পর্যন্ত কে নেবে মিলনের এই দায়ভার।

সাধরণ একজন শিক্ষার্থী এভাবে নিখোঁজ আবার এত দিনেও সুনির্দিষ্ট কোন সন্ধান পেলেনি এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন এবি নিউজকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী অপরাধী হতে পারে। হতে পারে অনেক বড় অন্যায় করেছে। তাই বলে কি, তাকে গোপন করে বিচার করতে হবে? তাই বলে কি তার পরিবারকে তার বিষয়ে জানতে দেওয়া হবে না। যদি কোন বড় ক্ষতি হয়ে যায় তবে সে দ্বায়িত্ব কে নেবে ।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন ছাত্র এভাবে এতদিন নিখোজ থাকলে তা সব শিক্ষার্থীর জন্য অশণি সংকেত। তবে দ্রুত বিষয়টি খোলাসা করার দাবি জানান ছাত্র নেতারা।

এবিএন/ওবায়দুল হক/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত