লাখাই (হবিগঞ্জ), ৯ জুন, এবিনিউজ : জেলার লাখাই উপজেলা থেকে প্রায় ৭ কোলিমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মোড়াকরি গ্রাম। গত ৬ জুন মঙ্গলবার দুপুরে গরুতে জমির ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বকুল মিয়া ও সিজিল মিয়া লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাধে।
সংর্ঘষের বকুল মিয়া লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয় অত দরিদ্র কৃষক লেপাই মিয়া (৩২)। ওই ঘটনার ২ দিন পর নিহতের ভাই মোঃ বাবুল মিয়া বাদি হয়ে লাখাই থানা ১৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জন কে আসামি করে খুনের মামলা নং ১০ তারিখ:৮/৬/২০১৭ রজু করে। ওই ঘটনায় পুলিশ ভুলন বিবি (৪০)নামে এক মহিলা আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
শুক্রবার সরেজমিনে মোড়াকুড়ি গ্রামে নিহতের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় কান্নার রোল। অধুনা বিধবা স্ত্রী ও ছোট ছোট ৪টি শিশু নির্বাক। কারোও মুখে কথা ফুটছে না। সবাই নীরব, নিস্তব্ধ। মামলার বাদী,প্রতিবেশী, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরপেক্ষ লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ১ ঘটিকার সময় গ্রামের প্রতিবেশী নুর মিয়ার ছেলে মোঃ বকুল মিয়ার গরু, নিহত মিলন মিয়ার ছেলে লেপাই মিয়ার জমির ধান গাছ খেয়ে ফেলে। লেপাই মিয়া গরুগুলি মাঠ থেকে বাড়ীতে নিয়ে আসতে রওয়ানা দেয়।
গরুগুলো বাড়ীতে নিয়ে আসা মাত্রই বকুল মিয়া ওতার লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে লেপাই মিয়ার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে দেয়। প্রতিপক্ষের মারপিটের কারণে লেপাই মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। এ সময় নুর মিয়ার ছেলে আসামী আশাই মিয়া ও পেরু মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া তাদের হাতে থাকা ফিকল দিয়া লেপাই মিয়ার নাভীর নিচে গাই মারে।
পরে লেপাই মিয়ার আর্তচিৎকারে তার লোকজন দৌড়ে এলে লেপাই মিয়ার খুন নিশ্চিত জেনে আসামীরা পালিয়ে যায়। লেপাই মিয়াকে বামৈ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাবুল মিয়া লাখাই থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করে।
আসামীদের বাড়ীতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামীম মুসার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা ও মহিলা আসামী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।
এবিএন/আব্দুল হান্নান/জসিম/এমসি