বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মানিকগঞ্জে বাল্য বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত
মামা ও নানী আটক

মানিকগঞ্জে বাল্য বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত

মানিকগঞ্জে বাল্য বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত

‌মা‌নিকগঞ্জ, ১১ জুন, এবিনিউজ : মানিকগঞ্জে বাল্য বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে গুরুত্বর আহত স্কুল ছাত্রী স্মৃতি আক্তারের (১৬) সৎ মামা ও নানী কে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুড়ি এলাকা থেকে মামা রেজাউল করিম সাজু ও নানী লাভলী ইয়াসমীন ডলিকে আটক করা হয়। গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থী ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুড়ি গ্রামের প্রবাসী হুমায়ন কবিরের মেয়ে এবং সদর উপজেলার জয়নগর উচ্চ

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্মৃতি আক্তারের জন্মের মাত্র ২ ঘন্টা পর মা বিলকিস আক্তার মারা যায়। এরপর পিতা হুমায়ুন কবির বিয়ে করেন। এরপর থেকে স্মৃতি তার নানার বাড়ি সদর উপজেলার গিলন্ড গ্রামে বসবাস করে আসছে। গত ৩০ এপ্রিল স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর স্মৃতিকে তার সৎ মামা রেজাউল করিম সাজু দুই সন্তানের জনক শামসূল হক নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু স্মৃতির বিয়ের বয়স না হওয়ায় এবং সে পড়া লেখা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায়। কিন্তু স্মৃতির সৎ

মামা ও নানী একাধিকবার বোঝানোর পরও স্মৃতি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার সৎ মামা ও নানী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ঘরের ভিতর আটকে রেখে কুড়ালের হাতল দিয়ে পেটায়। এক পর্যায়ে

স্মৃতির সৎ নানী লাভলী ইয়াসমীন ডলি তার মুখে রুটি বানানোর বেলুন ঢুকিয়ে দেয়। এ ঘটনা যাতে তার নানা আলমগীর হোসেনকে না জানায় তার জন্য তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু স্মৃতির আঘাতের ব্যাথার কারণে তার নানাকে জানাতে বাধ্য হয়। ঘটনা শোনার পর নানা আলমগীর তার মামা ও নানীকে গালা-গাল করে শাসন করে। এ ঘটনার এক মাস পর স্মৃতি স্কুল যাওয়ার কথা বলে গত ৫ জুন তার নানার বাড়ি থেকে পালিয়ে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি গ্রামে দাদার বাড়িতে যায়। স্মৃতির শারীরিক অবস্থা কথা জানার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে দাদি মমতাজ বেগম তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. লুৎফর রহমান জানায়, স্মৃতি

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন। সে ঝুকিমুক্ত। তাকে ব্যাথানাশক ঔষধ দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানায়, গত শুক্রবার রাতে স্মৃতির নানী মমতাজ বেগম বাদি হয়ে সৎ মামা রেজাউল করিম সাজু, সৎ

নানী লাভলী ইয়াসমীন ডলি, সৎ মা মালেকা বেগম এবং দুই সন্তানের জনক পাত্র সামসুল হকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ ওই রাতেই স্মৃতির সৎ মামা ও নানীকে আটক করেছে।

‌এবিএন/মো: সো‌হেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত