ঢাকা, ১২ জুন, এবিনিউজ : লতিরাজ কচু চাষ করে মাগুরার অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে। এ জন্য কচুর লতিকে এখানকার মানুষ রাজলতি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শালিখার কৃষক মোসলেম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম জানান লতি চাষ এখন বেশ লাভজনক। মাগুরাতে উৎপাদিত এই লতি সরাসরি না হলেও হাত ঘুরে কয়েক বছর ধরে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে লতিরাজ কচুর চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক বিঘা জমিতে এ কচু চাষ করে বছরে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানালেন তারা।
লতি বিক্রি করতে আসা কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে লতিরাজ কচু চাষে খরচ লাগে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো। বিক্রি হয় ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি বা বন্যায় চাল, বেগুন, করলা, ডাটা ও অন্যান্য সবজির ব্যাপক ক্ষতি হলেও লতিরাজ কচুর কোন ক্ষতি হয় না। এতে কচুর গাছ সতেজ থাকে। যত বৃষ্টি তত লতি বাড়তে থাকে কচুর কান্ড থেকে। এ ছাড়া গরু-ছাগল এর কোনো ক্ষতি করতে পারে না।
মাগুরাতে চাষ হওয়া এ লতিরাজ কচু উন্নতমানের হওয়ায় এর চাহিদা সারাদেশ ব্যাপী। যা দেশের অন্য কোন অঞ্চলে পাওয়া যায়না। সে কারণে এ লতিরাজ কচুর চাষ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে দেশ থেকে বিদেশেও।
এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি