![মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে নানা সমস্যা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/13/manikgonj-karagar@abnews_83084.jpg)
মানিকগঞ্জ, ১৩ জুন, এবিনিউজ : মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে অতিরিক্ত বন্দির কারণে জেল খানার ছোট কক্ষে শতাধিক বন্দিকে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয়। সেখানে দিন বা রাত কোনো সময়ই বিশ্রাম নেওয়ার মতো কোনো অবস্থা নেই। জেলা কারাগারের বন্দিদের চরম ভোগান্তি ও দুভোগ পোহাতে হচ্ছে। অার অতিরিক্ত গরমের কারণে গাদাগাদি করা পরিবেশে বন্দিদের জীবন যায়যায় অবস্থা। মানিকগঞ্জ কারাগারে থাকা মাদক মামলায় জামিনে মুক্ত সাটুরিয়া উপেজলার শরিফ হোসেন এ ভাবেই বলছিলেন কারাগারে বন্দিদের ভোগান্তি কথা।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে নানা সমস্যার কারনে বন্দিদের চরম দুভোগ পহাতে হচ্ছে। কারাগারের হাসপাতালে একজন সহকারী সার্জন থাকার কথা থাকলেও বন্দিদের চিকিৎসার জন্য নেই কোনো চিকিৎসক। অাবার গ্যাস সংকটের কারনে বন্দীদের রান্নাসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে। বন্দিরা সময় মতো খাবার ও চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না। গোসল করতে গিয়েও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার প্রায় সাত গুণ কয়েদি রয়েছে। এতে করে প্রচন্ড গরমে অসহনীয় কষ্টে দিনাতিপাত করছে কারাগারের বন্দিরা।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগার সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের উঁচুটিয়া এলাকায় ৬ একর জায়গার উপর স্থাপিত হয় মানিকগঞ্জ জেলা কারাগার। এর মধ্যে কারাভ্যন্তরেরর জায়গা ৪ একর এবং বাইরের জায়গার পরিমাণ ২ একর। কারাগারটিতে সাধারণ ওয়ার্ড আছে সাতটি। মহিলাভবন একটি ও হাসপাতাল আছে একটি।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগার ১০০ জন বন্দি ধারণে সক্ষম। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ৯০ জন আর নারী বন্দি থাকার কথা ১০জন।
অার বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারটিতে ৬৮৬ জন বন্দী আছেন। এর মধ্যে ৬৭০ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী বন্দী আছে। বন্দীদের মধ্যে কয়েদির সংখ্যা ৮২ এবং হাজতির সংখ্যা ৬০৪। কয়েদিদের মধ্যে ৮০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। হাজতিদের মধ্যে ৫৯০ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা জানায়, বন্দীদের প্রায় ৬০ ভাগই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলার আসামি।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার নাহিদা পারভীন জানায়, কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নিতে হচ্ছে।ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি থাকায় এখানে বেশ সমস্যা হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের কারনে বন্দিদের কষ্ট ও দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। অার গ্যাস সংকটে বন্দীদের জন্য খাবার রান্না করে সময়মতো পরিবেশন করতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এবিএন/মো. সোহেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর