রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বান্দরবানে পৃথক পাহাড় ধসে নারী-শিশুসহ নিহত ৬ : আহত ৫

বান্দরবানে পৃথক পাহাড় ধসে নারী-শিশুসহ নিহত ৬ : আহত ৫

বান্দরবানে পৃথক পাহাড় ধসে নারী-শিশুসহ নিহত ৬ : আহত ৫

বান্দরবান, ১৩ জুন, এবিনিউজ : বান্দরবান পার্বত্য জেলায় প্রবল র্বষণরে ফলে পাহাড় ধসে পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে কালাঘাটা ও বালাঘাটা লেমু ঝিড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, বালাঘাটা লেমুঝিড়িতে তিন শিশু ও কালাঘাটা জেলেপাড়া এলাকার আবদুল আজজিরে স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৪২), তার মেয়ে সুখিয় বেগম (৮), কালাঘাটা এলাকার রেবো ত্রিপুরা (২০), লেমু ঝিড়ি আগাপাড়া এলাকার তিন শিশু শুভ বড়ুয়া (৮), মিতু বড়ুয়া (৬) ও লতা বড়ুয়া (৫) ঘটনা স্থলেই মারা গেছেন। খবর পেয়ে স্থানীয়দেরর সাথে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। ফায়ার র্সাভিস ও স্থানীয়রা জানায়, টানা র্বষণরে ফলে রাত সাড়ে ৪টার দিক বান্দরবান শহররে লেমু ঝিড় জেলেপাড়া এলাকায় পাহাড়রের মাটি ধসে ঘরের ওপর পড়লে মা কামরুন্নাহার বেগম ও মেয়ে সুখিয়া বেগম ঘটনা স্থলে মারা যায়। এ সময় কামরুন্নাহারের স্বামী আবদুল আজিজও গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে র্ভতি করা হয়েছে একই সময়ে লেমু ঝিড়ি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে লাল মোহন বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তির ওপর পড়লে তার তিন শিশু সন্তান ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয়। রাতে প্রবল বর্ষণের সময় শহরের কালাঘাটা এলাকার কবরস্থানের পাশে ঘরের ওপর মাটি চাপা পড়লে রেবা ত্রিপুরা নামে বান্দরবান সরকারি কলেজের এক ছাত্র নিহত হন।বান্দরবানে পৃথক পাহাড় ধসে নারী-শিশুসহ নিহত ৬ : আহত ৫

এ সময় আরো চার কলেজের ছাত্র আহত হন। এরা হলেন, বান্দরবান থানচি উপজেলার বলি বাজারের বীর বাহাদুর ত্রিপুরা, সূর্য চাকমা ও প্রশেন ত্রিপুরা। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বান্দরবান সদর হাসপাতালের আরএমও ড: সমিরন নন্দি বলেন আহতরা বর্তমানে আশংক্ষা মুক্ত তারা বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জানা গেছে, আহত”রা কালাঘাটা এলাকায় লোখাপড়ার জন্য সবাই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। নিহত রেবা ত্রিপুরা রাতে সূর্ষ চাকমাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ঘোষ জানান, কালাঘাটা ও বালাঘাটায় পৃথক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড় ধসে পড়া মাটির গভীরতা বেশি হওয়ায় মা-মেয়ের লাশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাটি খুঁড়ে তাদের লাশ বের করার চেষ্টা চলছে।

বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে বলে দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে এদিকে, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সাংঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে জেলা শহর, লামা ও আলীকদম উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার দুই সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ায় এবং পানি জমে যাওয়ায় বান্দরবানের থানছি, রুমা, লামা ও আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগযোগ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম বালাঘাটা পাইনছড়া ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে বান্দরবানের সঙ্গে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। কুহালং ইউনিয়নের ভরাখালি এলাকার ৩টি বাড়ি সাঙ্গু নদিতে চলে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এবিএন/আব্দুর রহিম/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত