![ফের পাহাড় ধস: ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/16/hill-collapse-khagrachori_83645.jpg)
খাগড়াছড়ি, ১৬ জুন, এবিনিউজ : খাগড়াছড়িতে ফের বর্ষণে পাহাড় ধস শুরু হয়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় শুক্রবার সকাল থেকে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে হাজারও পরিবার। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ফের টানা বর্ষণে জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জেলা শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ, আঠার পরিবার এলাকায় ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিশ শরমিন জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। যাতে জানমালে ক্ষতি না হয় সে জন্যে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শালবনের জেলা প্রশাসনের স্টাফ কোয়াটারকে আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে আশ্রিতদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো: জসিম উদ্দীন জানান, ঝুঁকি জেনেও অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। তার পরও বুঝিয়ে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান জানান, বর্ষণ শুরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৩০টি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
পাহাড় কাটা বন্ধ ও পাহাড়ের ঢালে বসতি স্থাপন বন্ধের উদ্যোগ না নিলে যেকোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। টানা বর্ষণে ইতোমধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেই সেনা কর্মকর্তাসহ মারা গেছেন ১০৯ জন।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি