শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • রাজবাড়ীতে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুই সিগারেট পরিবেশক

রাজবাড়ীতে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুই সিগারেট পরিবেশক

রাজবাড়ীতে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দুই সিগারেট পরিবেশক

রাজবাড়ী, ১৮ জুন, এবিনিউজ : রাজবাড়ীতে ডাবরি সিগারেট ও রয়েল সিগারেট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে পরিবেশকরা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

প্রকাশ্যে ধূমপান করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় কেন অপরাধ নয়? বাজেট ঘোষণার পূর্বেই সিগারেট প্যাকেটের গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি দেখার কেউ নেই।

প্রতিবছর বাজেট পেশ হয়ে থকে জুন মাসের দিকে, আর কার্যকরিতা হয় অন্তত তার ১ মাস পর। অথচ দেখা যায় সংসদীয় অধিবেশনে বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠান টেলিভিশনে দেখার পরদিন হতেই রাজবাড়ীতে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়ে যায়।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এবারেও তামাকের ওপর একাধিক মূল্যস্তরভিত্তিক কর বৃদ্ধি করা হয়েছে শুধু মাত্র নিন্মমানের (কম মূল্যের) সিগারেটের উপর। যার বাস্তবায়ন শুরু হয়নি এখনও।

আকিজ কর্পোরেশন লিমিটেডের একাধিক সিগারেটের মধ্যে রাজবাড়ীতে সব চাইতে বেশী বিক্রি হয় ‘রয়েল সিগারেট’ ও ব্রিটিশ টোবাকো লিমিটেডের একাধিক সিগারেটের মধ্যে ‘ডাবরি সিগারেট’। রয়েল সিগারেট প্যাকেটের গায়ে মূল্য লেখা রয়েছে ২৩ টাকা আর বিক্রি করছে ২৭ টাকায় এবং ডাবরি সিগারেট প্যাকেটের গায়ে মূল্য লেখা ২৩ টাকা সেটাও বিক্রি করছে ২৭ টাকায়। নতুন মূল্যের সিগারেট বাজারে আসার আগেই ৩ জুন-১৭ শনিবার থেকে প্রতি প্যাকেট ৪ টাকা বেশী মূল্যে বিক্রি করছে রাজবাড়ীর পরিবেশকরা।

জনসাধারণের (ভোক্তাদের) কাছে প্রতিদিন লাখ প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করে অন্তত ৫/৬ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে এই আকিজ কর্পোরেশন লিমিটেডের রাজবাড়ী পরিবেশক জনতা ষ্টোর এবং ব্রিটিশ টোবাকো লিমিটেডের রাজবাড়ী পরিবেশক হচ্ছে মেসার্স তারেক আহমেদ দীপু। মাসিক হিসাবের অংক দ্বারায় প্রায় দেড় / দুই কোটি টাকারও বেশী।

প্যাকেটজাত বিহিন (লুচ) যে কোন দ্রব্যের ক্ষেত্রে যে কোন মূহুর্তে দাম বাড়তে পাড়ে কারণ গায়ে তো আর মূল্য লেখা থাকেনা। কিন্তু প্যাকেটজাত দ্রব্যের গায়ে তো মূল্য লেখা রয়েছে, সেই গায়ে লেখা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করা গুরুতর অপরাধ এবং ভোক্তা অধিকার আইনের পরিপন্থী ।

বিষয়টি ভোক্তাদের অনুরোধক্রমে ও প্রশাসনের দৃষ্টিগোচরের উদ্দেশ্যে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। পরবর্তীতে আরো প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, ৩০ মে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য করনীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সহ অন্যন্য বক্তরা বলেন, ভেজাল পণ্য কিনে যদি কেউ প্রতারিত হয়ে থাকেন তাহলে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে, ক্রেতার দেওয়া অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবসায়ীকে করা জরিমনার ২৫% অভিযোগকারীকে দেওয়া হবে। তারা বলেন বাজারে যে কোন ভেজাল পণ্য কিনে কেউ প্রতারিত হলে সেই দোকান দারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।

কোন দোকানদার যদি বাজার ছাড়া পণ্যের দাম বেশি নিয়ে থাকে বা এক নম্বর বলে ২/৩ নম্বার জিনিস দিয়ে ঠকিয়েছে। এমন সমস্যায় সাথে সাথে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে পারেন।

এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/ইমরান

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত