![বৃষ্টিতে তীব্র যানজটে অসহায় রাজধানীবাসী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/19/malibagh.abnews24_84090.jpg)
ঢাকা, ১৯ জুন, এবিনিউজ : রমজানের শুরু থেকেই অসহনীয় যানজট সহ্য করতে হচ্ছে ঢাকাবাসীকে। ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই স্থবির হয়ে পড়ছে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলো। এ ছাড়া প্রায়ই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে নগরীর বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতার কারণে এ যানজট আরো তীব্রতর হচ্ছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণের কারণে রাজধানীর রাজারবাগ, কমলাপুর, আরামবাগ, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, বাড্ডা, মিরপুর, রামপুরা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ বেশ কিছু স্থানে পানি জমে জলজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। পানির কারণে এসব সড়কে যানজটের চিত্র ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। অনেকে সকাল থেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই বসে থাকতে হচ্ছে।
এ ছাড়া ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, খামারবাড়ী, বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানী, গুলশান, গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, বাংলামোটর, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, বিশ্বরোড, সায়েদাবাদ, গাবতলী, মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি ও আজিমপুরসহ রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতেও যানজট দেখা গেছে।
এসব ব্যস্ত সড়কের পাশাপাশি যানজটে আরো স্থবির হয়ে পড়ে সংযোগ সড়ক ও গলিপথগুলো। অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন। অনেকে নিরুপায় হয়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা নিয়াজ মাহমুদ বলেন, রোজা রেখে শরীরে এমনিতেই এনার্জি থাকে না। তার ওপর বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও যানজটে বসে থাকতে থাকতে বাকি এনার্জিটুকুও চলে যায়। সকাল সাড়ে ৯টায় রওনা দিয়ে গতকালও মিরপুরে যেতে বেলা ১টা বেজে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে সুস্থ মানুষও পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে পড়বে। পল্টন মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী আতিকুল ইসলাম বলেন, একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে বাসে পা ফেলার জায়গা নেই। এমন অবস্থায় সিএনজিও পাচ্ছি না। রোজা রেখে কি যে কষ্ট হচ্ছে তা বোঝাতে পারবে না।
সাত্তার মিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, বৃষ্টির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও বাস পাচ্ছি না। একদিকে বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি, অন্যদিকে যানজট। কি যে করবে বুঝতে পারছি না। এদিকে বৃষ্টিমুখর আবহাওয়া প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, ‘মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সকাল ১০টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে।’
এবিএন/শংকর রায়/জসিম