![চাঁদপুরে নির্যাতিতা আইনজীবী’র শয্যাপাশে মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/19/abnews-.bbbbbbbbbbbbb_84141.jpg)
চাঁদপুর, ১৯ জুন, এবিনিউজ : স্বামীর হাতে নির্যাতিত অ্যাড. কুলসুমা বেগমের (৪০) শয্যাপাশে চাঁদপুর জেলা মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী শিক্ষক লীলা মজুমদার, সহ-সভানেত্রী শিক্ষক মায়া রাণী মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার, লিগ্যাল এইড সম্পাদক শিক্ষক রওশন আক্তার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রিতা চক্রবর্তীসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গতকাল ১৮ জুন চিকিৎসাধীন কুলসুমা বেগমকে দেখতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। তারা এ সময় বলেন, নির্যাতিত কুলসুমার স্বামী মুসলিম সর্দার মিশু একজন মানুষরূপী পশু। একজন শিক্ষিত মানুষ কখনো এমন করে কোনো নারীর উপর বর্বরোচিত হামলা করতে পারে না। আমরা মনে করি তার আচরণে গোটা শিক্ষক সমাজই আজ লজ্জিত। কারণ শিক্ষক সমাজ আমাদের অহংকার ও বিবেকবান। তারা কখনো কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না।
মুসলিম সর্দার মিশু একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হয়ে কি করে নিজের স্ত্রীর উপর এমন নির্মম নিষ্ঠুর আঘাত হানতে পারলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এই নরপশু যৌতুক লোভী স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা মনে করি আদালত তাকে এমন সাজা প্রদান করবেন তা দেখে আর কোনো অমানুষ যাতে স্ত্রী বা কোনো নারীর প্রতি এমন নিষ্ঠুর অমানবিক আচরণ করতে না পারে। উল্লেখ্য, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক বর্তমানে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম জসমুদ্দিন আবদুল গণি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুসলিম সর্দার তার স্ত্রী ১ সন্তানের জননী অ্যাড. কুলসুমা বেগমকে যৌতুকের জন্য নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করে। তার নির্যাতনে মারাত্মক আহত অ্যাড. কুলসুমা বেগমকে তার আত্মীয়-স্বজনরা গত ১৬ জুন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় গত ১৭ জুন রাতে লম্পট স্বামী মুসলিম সর্দার মিশুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এবিএন/শ্যামল চন্দ্র দাস/জসিম/তোহা