![খাগড়াছড়ি মহালছড়ির-রাঙ্গামাটি ২৫বছর পর নৌপথে যান চলাচল শুরু](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/06/20/khagrachari mohalchari-rangamaty warew roed savice pic1, 20-06-2017_84297.jpg)
খাগড়াছড়ি, ২০ জুন, এবিনিউজ : পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযাগ ব্যবস্থা ব›দ্ধ থাকার ফলে ও নিরাপত্তা জনিত কারণে দীর্ঘ ২৫বছরের অধিক নৌ পরিবহন বন্ধ থাকার পর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলা-রাঙ্গামাটি সাথে পানি পথে স্পীট বোট নৌকা চলাচল শুরু করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আটকে যাওয়া জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রোববার সকাল থেকেই মহালছড়ি-রাঙ্গামাটির পাহাড়ী টেম্পু বোট বহুমূখী সমবায় সমিতি লি: এর বিশেষ ব্যবস্থায় নৌ পথে যান চলাচল শুরু করে।
পাহাড় ধ্বস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে রাংগামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযাগ একেবারে ব›দ্ধ রয়েছে। তবে দু.দিন পর খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে রাস্তা মেরামতের পর যানবাহন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়েছে। ভারি বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি-রাংগামাটির প্রধান সড়কে বেতছড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে পাহাড় ধ্বস হয়। সড়কে উপর মাটি ধ্বসে পড়ে থাকায় যানবাহন শ্রমিকরা চলাচল করতে না পারা দুরবর্তী যাত্রীরা গন্তব্যস্থলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
মহালছড়ি উপজেলা নৌকা বোট সমিতির কাউকে পাওয়া না গেলেও ষ্পীট বোট চালক রবিধন চাকমা জানান, সমিতির নির্ধারিত ভাড়া মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি প্রতিজন যাত্রী ২শত টাকা। বোট চলাচল প্রথম দিনেও রাঙ্গামাটি থেকে আসার পথে যথেষ্ট পরিমাণ যাত্রী পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আরো যাত্রী বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বোট ছাড়ার সময়সূচী সম্পর্কে তিনি, মহালছড়ি থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টায় আর দুপুর ২টায় এবং রাঙ্গামাটি থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ও দুপুর ২টায় বোট ছাড়ার কথা জানান। তিনি আরো বলেন, রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি স্থল পথে প্রধান সড়ক পুরোপুরি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়মে জলজ পথে যোগাযোগ নৌকা বোট চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবত প্রবল ভারী বর্ষনের কারণে বড় ধরণের ভুমি ধসের ফলে মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি একমাত্র আন্ত: প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। ৭-৮দিন যাবত সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে গেলে রাঙ্গামাটি-মহালছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার কারণে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। নৌ পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে জনসাধারণের এ দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে বলে বিজ্ঞ জনেরা মনে করছেন।
এবিএন/চাইথোয়াই মারমা/জসিম/ইমরান