মাগুরা, ২২ জুন, এবিনিউজ : মাগুরা-যশোর মহাসড়কে মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালীতে চিত্রা নদীর ওপর তৈরি বেইলি সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের মাগুরা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পরে এর পাশে জোড়া স্টিলের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সওজ। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে গত ২৪ মার্চ থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়। মাগুরার এইচআর, নড়াইলের ইডেন ও খুলনার এলি নামের তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি পায়। প্রাথমিকভাবে কাজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ৪৫ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে অপর লেনের কাজ শেষ হবে বলে মাগুরা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুন নবী তরফদার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মাগুরা-খুলনা মহাসড়কে সীমাখালীতে পুরাতন সেতুটি ভেঙে পড়লে দ্রুত বিকল্প সেতু নির্মাণের জন্য ওই মাসেই দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিন কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ পায় এইচ অ্যান্ড আর জেবিসি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির নির্মাণের সময় কাল ছিল ছয় মাস। কিন্তু দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হয়। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেন প্রকৌশলী নূরুন নবী তরফদার।
তিনি আরও বলেন, “অনেকে সেতুটি ‘বেইলি সেতু’ বলছেন, মূলত এটি জোড়া স্টিলের সেতু। একটি দিয়ে যানবাহন যাবে, অন্যটি দিয়ে আসবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে তারা ঈদের আগেই কাজ শেষ করতে চেয়েছেন, সফলও হয়েছেন।”
তিনি বলেন, ‘জোড়া স্টিলের সেতুটি আপদকালীন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতুর পাশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক নিয়ে বেইলি ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাগুরা-যশোর পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। তাদের মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়ক পথে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছিল।
প্রায় সাড়ে চার মাস পর আজ সেই বিকল্প বেইলি সেতু চালু হলো। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সওজের খুলনা বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন, এএসপি কনক কান্তি দাশ, শালিখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি মজুমদার প্রমুখ।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি