রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo

সোনাগাজীতে ডাকাতের সাথে পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ

সোনাগাজীতে ডাকাতের সাথে পুলিশ বন্দুকযুদ্ধ

সোনাগাজী (ফেনী), ৩০ জুন, এবিনিউজ : সোনাগাজীতে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে এমনটা জানিয়েছেন মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত ও এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং অস্ত্র গুলি উদ্ধার করা হয়েছে দাবী করেছে ওসি।

ঘটনাটি আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট সংলগ্ন একালায় ঘটে বলে জানানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ শরীফ(২৫) উপজেলার আমিরাবাদ ইউপির বাদমতলী সংলগ্ন দুলাল মিয়ার ছেলে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই বুদেব, কনস্টেবল মো. হানিফ, মো. লতিফ ও সুদত্ত চাকমা। ওসি বলেন, ডাকাতদের গুলিতে আহত চার পুলিশ সদস্যকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ ডাকাত শরীফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ওসির দাবীর প্রেক্ষিতে সোনাগাজী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইফতেখার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালের রেকর্ডে আহত গুলিবিদ্ধ ডাকাত বা পুলিশ সদস্য চিকিৎসা গ্রহন করেছে এমন কোন তথ্য নেই।

ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ শুক্রবার ভোর রাতে পুলিশ পায়ে গুলিবিদ্ধ একজন কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলো। ৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পায়ে গুলিবিদ্ধ শরিফের সর্বশেষ অবস্থা জানতে তাকে প্রহরায় নিয়োজিত সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আশিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওসির সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে ফোন কেটে দেন।

বন্দুক যুদ্ধের বিষয়ে ওসি জানিয়েছেন, মুহুরী প্রজেক্ট সংলগ্ন স্থানে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্চে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ.এস.আই ভুদেবের নেতৃত্বে পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত সদস্যরা পুলিশের ওপর গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে গ্রেফতার ও একটি এলজি, দেশি পাইপগানসহ ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এদিকে শরিফের পিতা দুলাল মিয়া জানিয়েছেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে জায়গা জমি সংক্রান্ত একটি মামলা ছাড়া অন্য কোন মামলা নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজসে পুলিশ মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে।

তাকে ২৫ জুন রাতে পুলিশ আমিন উদ্দিন মুন্সির বাজার থেকে গ্রেফতার করে। থানায় নেওয়ার সময় সে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে চট্রগ্রাম চলে যায়। ২৬ জুন রাতে পুনরায় পুলিশ তাকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সোনাগাজী থানায় নিয়ে আসে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় তাজু মেম্বারসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতে থানা হাজতে তার সাথে সাক্ষাত করি। আজ শুক্রবার সকালে শুনি শরিফ কে ডাকাতির সময় গুলি করেছে পুলিশ।

শরিফের পিতার অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করে ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, সে একজন পেশাদার ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। ডাকাতির প্রস্তুতি, পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং আটক ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এবিএন/রিপন/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত