![এসি রবিউলের স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা চায় পরিবার](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/01/manikgoanj_abnews24 copy_85787.jpg)
মানিকগঞ্জ, ১ জুলাই, এবিনিউজ : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে এক বছর আগে জঙ্গি হামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম মারা যান। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের সন্তান।
পরিবারে দুই ভাইয়ের মধ্যে রবিউল ছিলেন বড়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল গত বছরের (২০১৬) ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালালে প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হন।
বর্তমানে মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে থাকছেন নিহত রবিউলের স্ত্রী উম্মে সালমা, মেয়ে রায়না (১১ মাস), ছোট ছেলে সাজিদুল করিম সামি (৮), ভাই সামসুজ্জামান সামস ও বৃদ্ধ মা করিমুন নেছা। রবিউলের পুলিশে চাকরি হওয়ার পর পরিবারটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু রবিউলের অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি আবারো সংকটে পড়েছে।
রবিউলের মা করিমুননেছা জানায়, রবিউলের মৃত্যুর পর সরকারিভাবে পাওয়া সহায়তার অর্থ ব্যাংকে জমা আছে। সেখান থেকে যা আসে তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে যাচ্ছে। ছোট ছেলে শামসুজ্জামান শামস ও রবিউলের স্ত্রী উম্মে সালমার একটি চাকরি হলে বেঁচে যাই। আমার সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এখন সরকারের উচিৎ রবিউলের স্ত্রী ও ছোট ভাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম দিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো।
এসি রবিউলের স্ত্রী সালমা জানায়, প্রতিবন্ধী শিশুদের খুব ভালোবাসত রবিউল। শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতাহীন শিশু ও কিশোরদের জন্য বাড়ির অদূরে বাসাই গ্রামে ২০১১ সালে রবিউল প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিকনিং লাইট অরগানাইজেশন অব ম্যানকাইন্ড অ্যান্ড সোসাইটি (ব্লুমস)’ নামে বিশেষায়িত বিদ্যালয়টি।
রবিউলের ভাই সামসুজ্জামান সামস জানান, রবিউল মারা যাওয়ার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক যোগ্যতা অনুযায়ী সালমাকে একটি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার কথাও পুলিশ প্রধান জানিয়েছিলেন।
তবে সাত-আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তার কোনো সুরাহা হয়নি। ভাই মারা যাওয়ার পর ভাবী ভাইয়ের স্মৃতিকে আঁকড়ে আছেন। তিনি কোনো কর্মে যেতে পারলে শোক কাটিয়ে ওঠা তার পক্ষে সহজ হতো।
এবিএন/সোহেল রানা/জসিম/এমসি