
সিলেট, ০২ জুলাই, এবিনিউজ : টানা বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নদী ও হাওরের পানি বেড়ে গিয়ে শনিবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রাম। এ অবস্থায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই লাখ মানুষ।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা বৃষ্টির কারণে বরাক নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বরাকের শাখা নদী সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি তীর উপচে প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। ফলে সুরমা ও কুশিয়ারা অববাহিকায় নদীর তীরের গ্রামগুলো তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে।
এছাড়া, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। ডুবেছে হাজার-হাজার ঘরবাড়ি, দোকান পাট। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
এদিকে, শনিবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাপ্লাবিত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, নদীতীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে বেশি। বন্যার্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২৭ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে এ সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আজ রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
জেলার অর্ধশতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে বন্যাদুর্গতরা। ফলে ঈদের ছুটির পর শনিবার থেকে বিদ্যালয় চালু হওয়ার কথা থাকলেও বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান হয়নি। সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাপ্লাবিত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার। তিনি বলেন, নদীতীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে বেশি। বন্যার্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২৭ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি