![ঝালকাঠির রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধার জমিতে আওয়ামীলীগ নেতার দখল চেষ্টা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/04/malek@abnews_86245.jpg)
ঝালকাঠি, ০৪ জুলাই, এবিনিউজ : ঝালকাঠির রাজাপুরে অসহায় এক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার জমিতে মসজিদ উঠিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন রাজাপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আ. মালেক হাওলাদার। কয়েক দিন পূর্বে হঠাৎ করেই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন অর রসিদ সিকদারের জমি দখল করার জন্য কোন আলোচনা ছাড়াই পাকা মসজিদের কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় ঐ জমির মালিক মালেক হাওলাদারের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি সহকারী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিরধিয় জমিতে স্থিতিস্থাপকতার আবেদন জানালে আদালত ১৪৪ ধারা জারী করেছেন। আদালত ১৪৪ ধারা জারীর পরও কাজ অব্যহত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রসিদের আত্মীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বদরুদ্দীন তোতা মৃধা জানায়, মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ ১৯৯৩ সালে আ. আজিজ ও আ. রাজ্জাকের কাছ থেকে ৪৯৬৪, ৪৯৬৯ ও ৪৯৭১ নং দাগে রসিদ সিকদারের মোট ৫১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে তার ২ কন্যার নামে জমি মিউটেশন করেন। এর মধ্যে ৮ শতাংশ জমি নিয়ে মালেকের সাথে রসিদ সিকদারের সাথে বিরোধ চলমান রয়েছে।
এর পূর্বেও কয়েকবার উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যার্থ হন মালেক। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন অর রসিদ সিকদার রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎধীন থাকার সুযোগে আ. মালেক জমি দখলের জন্য মসজিদ উঠাতে শুরু করেন।
মালেক জাতীয়পার্টি জেপি নেতা থেকে বর্তমানে আওয়ামীলীগের নেতায় রুপান্তরিত হওয়ায় এ সম্পত্তি দখলে তার কোন বেগ পেতে হয়নি। তার বাড়ির পার্শবর্তী একটি পুকুরও তিনি ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে অবৈধভাবে ভোগ দখল করছেন। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসলে তিনি ভীর জমান জাতীয় পার্টিতে। ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী সদস্য। এক সময়ের রাজাপুরের জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চুর ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
পরে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাতীয় পার্টি ছেড়ে জাতীয় পার্টি (জেপি) গঠন করলে তিনি জেপিতে যোগ দিয়ে উপজেলা জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার সময় বরিশালের প্রায়ত মেয়র শওকত হোসেন হিরন ও ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুন এমপির হাতে ফুল দিয়ে রাজনৈতিক গুরু মিলন মাহমুদ বাচ্চুর সাথে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। গ্রামের বাড়ি বড় কৈবর্তখালী হলেও তিনি উপজেলা শহরে বসবাস করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আ. মালেক জানান, এলাকার সবাই একত্র হয়ে ও সকলে চাদা দিয়ে সরকারী পতিত জমিতে এ মসজিদ নির্মান শুরু করেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসাবে তিনি কাজ দেখাশুনা করছেন। আর কমিটির কোষাধ্যক্ষ হিসাবে জেলা পরিষদের সদস্য তথা উপজেলা যুব মহিললীগের নেত্রী নাজমুন নাহার পাখি মৃধা। সকল শ্রমিকদের পারিশ্রমিক প্রদান করেন। পৌনে ২ শতাংশ সরকারী জমিতে জমিতে মসজিদ হচ্ছে ।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি তদন্ত হারুন অর রসিদ সাংবাদিকদের জানায়, সোমবার দুপুরে আদালতের ১৪৪ ধারা জারির আদেশ পেয়ে উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। শান্তি শৃখংলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর