![ঝালকাঠি রাজাপুরের শিশু নির্যাতন ঘটনার গ্রেপ্তার হয়নি কেউ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/04/shesu nerjaton copy_86267.jpg)
ঝালকাঠি, ০৪ জুলাই, এবিনিউজ : ঝালকাঠি রাজাপুরের আরুয়া সোনারগাঁও গ্রামে ৮ হাজার টাকা চুরির অপবাদে ২য়শ্রেণির ছাত্র মো. রাজু হাওলাদার নামে মাত্র ১১ বছরের শিশুকে তিনজন মিলে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন। তিন দফায় তাকে মারধর ও গ্যাস লাইট দিয়ে তার হাতের আঙুলে ছেঁকা দেয়ার মতো লোমহর্ষক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনার ৩দিন পর সোমবার রাতে রাজুর বাবা মোতালেব হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা (নং-২) দায়ের করেছে । রাজাপুর থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় মামলা রেকর্ড করেছে তবে আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানাগেছে।
এদিকে গত ৩দিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশের পর শিশু নিযার্তনের ঘটনায় মামলা রেকর্ড করার খবরে স্থানীয় জনমনে কিছুটা স্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। শিশু নির্যাতনে মূল হোতা ইয়াবা ব্যবসায়ী মাতাল সজিবসহ ৩ বখাটের খুঁিটর জোড় কোথায় তাই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া আসামী পক্ষের ক্রমাগত হুমকির মুখে বর্তমানে নির্যাতিত শিশুটির পরিবার উদ্বেগ ও আতংকে দিন কাটাচ্ছে বলে তাদের স্বজনরা জানিছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তমপুর স্কুলের শিক্ষক রুহুল আমিনের সন্তান ইয়াবা ব্যবসায়ী মাতাল সজিরের বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি আড়াঁল করার চেষ্টা চলছে। ঘটনা ধামাপাচা দিতে তিনি শিশুটির চিকিৎসায় ডাক্তারের দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী কিছু ওষুধপত্রও কিনে দিয়েছে। তবে এলাকায় মাতাল হিসেবে পরিচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী সজিব এলাকায় নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকতো ও তার অত্যাচারে এলাকার লোক অতিষ্ট থাকলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতনা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য শক্তির কারনে তার বিরুদ্ধে র্যাব, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। কিছুদিন পূর্বেও আরুয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সেক্রেটারি রাজিবকে মারধর করেছে বেপরোয়া সজীব ও তার সহযোগীরা।
প্রসঙ্গত, আরুয়া গ্রামের জাকির হাওলাদারের ৮ হাজার টাকা চুরির অপবাদে ১জুন বিকেলে দিনমজুর মোতালেব হাওলাদারের ছেলে আরুয়া সোনারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্র রাজু হাওলাদারকে স্থানীয় জাকির হোসেনের নির্জন ভিটার পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী মাতাল সজীব হোসেন, হাকিমের ছেলে সাইদুল ও গৌরার ছেলে লিটন সেখানে কাপড়ের টুকরো দিয়ে তার মুখ ও চোখ বেধে গরুর রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মাথা নিচের দিকে ও পা ওপরের দিকে দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে হাতের আঙুলে গ্যাস লাইটের আগুনে ছেঁকা দেয়া হয়। ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাকে বেধরক পেটানোর কারনে সে মারাক্তক অসুস্থ হয়ে। পরে তবে করা হয়।রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেহ গ্রফতার হয়নি।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/ইমরান