![খাগড়াছড়ির চেংগী নদী গ্রাস হচ্ছে বাড়িসহ ফসলি জমি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/09/khagrachari_87260.jpg)
খাগড়াছড়ি, ৯ জুলাই, এবিনিউজ : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায় দক্ষিণ শান্তিপুর এলাকার রাবার ড্যামের পশ্চিম পাশে তারক সেন মহাজন পাড়ার বড় একটি অংশ চেঙ্গী নদীর প্রবল শ্রোতে এরি মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
যে কোন মুহুর্তে বিলীন হবার প্রহর গুনছে কল্যাণ মিত্র চাকমার বসত ভিটাসহ আশপাশের বাড়ি গুলো। বসত ঘরের মাঝামাঝিতে দেখা দিয়েছে বড় ধরেণর ফাটল। বৈদ্যুতিক ৪টি খুঁটি রয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায়। ৫নং উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় চাকমা ও পানছড়ি সাব-জোন কমান্ডার ইতিমধ্যে কল্যান মিত্রকে অন্যত্র সরে যেতে পরামর্শ প্রদান করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশালাকার ভাঙ্গনের চিত্র। এই ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে কল্যাণ মিত্র চাকমার বসত ঘর। তিনি অন্যত্র পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে ঘরের জিনিস পত্রাদি বাক্সবন্ধী করছেন।
গত সপ্তাহে তার গরুর ঘরটি চেঙ্গী নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বিজয় চাকমা, স্থানীয় মৃনাল কান্তি চাকমা, প্রতিরঞ্জন চাকমা, সত্যর্বত চাকমা জানায়, রাবার ড্যামটি নির্মাণের সময় নকশা জটিলতা ছিল বলেই প্রামটি আজ বিলীনের পথে।
এই গ্রামে শতাধিক পরিবারের বসবাস ছিল। ভাঙ্গনের ভয়ে বর্তমানে ২০ পরিবারও নেই। ড্যাম নির্মানকালে নদীর দুই পাশে পাথরের ব্লক বসানো হয়েছে অতি সামান্য। যদি ৫০-১০০গজ পর্যন্ত ব্লক বসানো হতো তাহলে নদী তার গতিপথ সঠিকভাবে প্রবাহিত হতো।
কিছুদিন পর কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাবার ড্যাামটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে কিনা তাও সন্দেহ রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পানছড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত আবসিক প্রকৌশলী মো: আলাউদ্দিন সোহাগ জানায়, বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অন্যত্র স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরি দু’একদিনের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাবে।
এবিএন/চাইথোয়াই মারমা/জসিম/এমসি