
ঝালকাঠি, ১০ জুলাই, এবিনিউজ : রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এমপির সামনে ছাত্রলীগের দুই নেতার হাতাহাতির ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্ধ উপজেলার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান কে দল থেকে বহিস্কার করেছেন। গতকাল রবিবার রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আল আমিন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ সিদ্ধান্তের বিষয় জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ‘সংগঠনবিরোধী ও অসামাজিক কাজে’ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তিনি ‘সংযত হননি’। মাহমুদুল হাসানের রাজনৈতিক কর্মকা- ‘বাংলাদেশে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী হওয়ায়’ তাকে বহিষ্কার করা হল বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়। রবিবার সকালে রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান চলাকালে উপজেলার ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান ও সদস্য রাজিব ফরাজীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাজাপুরের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন,“মাহমুদুলের বিভিন্ন কর্মকা-ে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল। তাকে একাধিকবার মৌখিকভাবে সংযত হতে বলা হলেও তিনি তাতে কর্নপাত করেনি ও তার সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড অব্যহত রাখেন। এ বিষয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনকে অবহিত করা হয়েছে। সর্বশেষ রবিবারে রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান পূর্ব ঘটনা অবগত করলেও ও বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারনা হওয়ায় সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় কেন্দ্রের ‘নির্দেশেই’ জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এই বহিষ্কারাদেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব রুবেল জানায়, তিনিও জেলা ছাত্রলীগ প্রচার সম্পাদকের মাধ্যমে জেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বহিস্কারাদেশ অবগত হয়েছেন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র লংঘন সহ অব্যহত ভাবে বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক মাহমুদ হাসান কে জেলা ছাত্রলীগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার সকালে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রাজপুর ডিগ্রী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের সামনেই ছাত্রলীগের দু’নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এমপির সাথে হাটাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও ছাত্রলীগ সদস্য রাজিব ফরাজীর মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এমপি হারুন সহ উপস্থিত অতিথিরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ সাংসদ হারুনকে নিরাপদে সভামঞ্চে উঠিয়ে দেন। পরে সাংসদ হারুণ এবং স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/তোহা