![ঝালকাঠিতে পঞ্চম শ্রেনীর দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করলো প্রধান শিক্ষক](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/07/11/vi-bon@abnews_87566.jpg)
ঝালকাঠি, ১১ জুলাই, এবিনিউজ : ঝালকাঠি সদর উপজেলার হরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত দুই শিক্ষার্থী হরিপাশা গ্রামের সোবাহান বেপারীর মেয়ে রুমী আক্তার (১১) ও একই বাড়ির মিজান বেপারীর ছেলে নুরুনবী বেপারী (১১) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আহত ওই দুই শিক্ষার্থী হাসিনা বেগমের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে তাদের উপরে ক্ষিপ্ত ছিল। এতে কয়েক দফায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। গত রবিবার দুপুরে বাংলা বিষয়ে ক্লাশ চলা কালে রচনা না পারায় প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বেত দিয়ে রুমী আক্তার ও নুরুনবী বেপারীকে এলোপাথারি ভাবে পিটুনি দেন। এতে ওই দুই শিক্ষার্থী দুই হাতে তালু ফেটে রক্তপাত শুরু হয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে যায়। পরে পরিবারের লোক তাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নেয়ায়। এহেন ঘটনায় শ্রেনীকক্ষে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও ভীত-শন্তস্ত্র প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার দাবি করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, হরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সময় অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখা করত। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম এখানে যোগদান করার পরে তার খামখেয়ালির কারনে দিন দিন শিক্ষার্থী কমতে থাকে। এমনকি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার কাছে প্রাইভেট পরার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যে শিক্ষার্থী তার কাছে প্রাইভেট না পড়ে তাদেরকে মারধর করা হয়।
তিনি যোগদানের পর থেকেই হরিপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করে বর্তমানে মোট ৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেনীতে মাত্র আট জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আহত শিক্ষার্থী নুরুনবী বেপারী বলেন,‘ প্রধান শিক্ষক আমাকে মারে আর বলে এটা তোর ঈদের উপহার।
আহত নুরুনবী বেপারীর বাবা কৃষক মিজান বেপারী বলেন, ‘ আমরা গরীব লোক হওয়ায় আমাদের ওপরে নির্যাতন বেশি হয়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষককে আমাদের ছেলে মেয়েদের মোটেও ভাল চোখে দেখেন না। করনে অকারনে মারধর করে। স্থানীয় বাদশা হাওলাদার বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের কেউ এমন ভাবে মারধর করে কি ভাবে ? মহিলা হলেও প্রধান শিক্ষকের মনে কোন দয়া মায়া নেই। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন , ওরা ক্লাশে পড়া পারেনি তাই সামান্য পিটুনি দেয়া হয়েছে। তবে প্রাইভেট না পড়ার জন্য মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর